ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ মোকাবেলায় সাতক্ষীরায় প্রস্তুত করা হয়েছে ১৬৯টি সাইক্লোন শেল্টার। এছাড়া আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে ৮৮৭টি। এর মধ্যে স্থায়ী সাইক্লোন শেল্টার ১৬৯টি ও অস্থায়ী ৭১৮টি। এসব কেন্দ্রে চার লাখ ৪৩ হাজার ৫০০ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন।
Advertisement
শনিবার ( ২৫ মে) সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবির জাগো নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ মোকাবেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলা প্রশাসন। সংশ্লিষ্ট সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের স্টেশন ত্যাগ না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ মৌসুমে একটি সাধারণ প্রস্তুতি আমাদের থাকেই। তারপরও আসন্ন ঘূর্ণিঝড়কে কেন্দ্র করে আমাদের উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগর, আশাশুনিসহ কালিগঞ্জ দেবহাটা এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত, শুকনো খাবার মজুত, প্রত্যেক ইউনিয়নে মেডিকেল টিম প্রস্তুত করতে ও পর্যাপ্ত খাবার-পানি মজুত রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর জন্য ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও প্রায় ছয় হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে পুলিশ, নৌ বাহিনী ও কোস্টগার্ডও প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি আরও জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এ (মোবাইল-০১৭৭৫৯১৭০৭১, টেলিফোন-০২-৪৭৭৭৪২৩৪৪) নম্বরগুলোতে ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা যাবে।
Advertisement
জেলার আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জাগো নিউজকে জানান, বর্তমানে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় রেমালের যে গতিপথ আছে সেটি ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত বরারব সুন্দরবন উপকূলের দিকে। ঝড়ের দিক পরিবর্তন হলে সাতক্ষীরা থেকে পটুয়াখালী জেলার উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা আছে।
আহসানুর রহমান রাজীব/এনআইবি/জেআইএম