বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ‘ঘূর্ণিঝড় রিমাল’ মোকাবিলায় নোয়াখালীর উপকূলীয় পাঁচ উপজেলায় ৪৬৬টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ ১০২ মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে।
Advertisement
শনিবার (২৫ মে) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
সভায় জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি হিসেবে উপকূলীয় পাঁচ উপজেলায় ৪৬৬টি আশ্রয়কেন্দ্র, ১০২ মেডিকেল টিম ও আট হাজার ৩৬০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেক উপজেলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সজাগ থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া জরুরি প্রয়োজনে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। এই (০১৭২৪০৯৬২৬৯) নম্বরে ফোন করে ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা যাবে।
Advertisement
সভায় অন্যান্যের মধ্যে পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহিদ আহসান খান, সিপিডি কর্মকর্তা রুহুল আমিন, জেলা রেড ক্রিসেন্টের সহকারী পরিচালক নুরুল করিমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে আবহাওয়ার সর্বশেষ ৭ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি শনিবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত থেকে ৪৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। দেশের দক্ষিণের সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ইকবাল হোসেন মজনু/এনআইবি/এএসএম
Advertisement