দেশজুড়ে

সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় উত্তাল রয়েছে সমুদ্র। এমন অবস্থায় সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তাই পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সচেতনতামূলক মাইকিং করেছেন কোস্ট গার্ডের সদস্যরা।

Advertisement

শনিবার (২৫ মে) সকাল ১০টা থেকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী প্রচার প্রচারণা চলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।

কোস্ট গার্ড সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ক্রমান্বয়ে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। এরূপ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে উপকূলীয় অঞ্চলের জনগণ, মৎস্যজীবী ও নৌযান সমূহকে ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য বাংলাদেশ কোস্টগার্ড উপকূলীয় অঞ্চলে জনসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পটুয়াখালী জেলার বিস্তীর্ণ উপকূলীয় এলাকায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের স্টেশন এবং আউটপোস্টসমূহ মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করছে। ঘূর্ণিঝড়ের বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে জীবন রক্ষার জন্য নিকটবর্তী সাইক্লোন শেল্টার স্টেশনে আশ্রয় গ্রহণের প্রস্তুতির জন্য সকলকে সচেতন করা হচ্ছে।

কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের বিসিজি স্টেশন নিজামপুর কন্টিনজেন্ট কমান্ডার আবু রাশেদ সুমন বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে দেশের সমুদ্র এলাকা ঝুঁকিতে রয়েছে। পরবর্তীতে সংকেত বেড়ে ঘূর্ণিঝড় রিমালে রূপ নিয়ে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এতে সংকেত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান নিতে সচেতনতামূলক মাইকিং শুরু করা হয়েছে।

Advertisement

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন হল রুমে বেলা ১১টায় উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া পৌর মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, সিপিপির উপ-পরিচালক আছাদ উজ জামান, দুর্যোগ ও ত্রাণ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবিরসহ জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ।

সভায় দুর্যোগকালীন সময় ১৫৫টি আশ্রয় কেন্দ্র, ২০টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুতের পাশাপাশি শিশু খাদ্য ও শুকনা খাবার মজুদ রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া কুয়াকাটার বহুতল ভবনগুলো দুর্যোগের সময় আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়। দুর্যোগে করণীয় সম্পর্কে প্রচার ও মানুষকে সচেতন করতে ৩১৬০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখার তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা দুর্যোগ ও ত্রাণ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির।

জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জানান, গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হতে পারে এবং উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই পটুয়াখালীর পায়রা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ০৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সকল মাছধরা ট্রলার সমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে অনুরোধ করা হয়েছে।

আসাদুজ্জামান মিরাজ/এফএ/জেআইএম

Advertisement