কলকাতায় খুন হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনারের মরদেহের অংশের সন্ধান মেলেনি এখনো। শনিবার (২৫ মে) দুপুর ১২টার পর দ্বিতীয় দিনের মতো ভাঙড়ের কৃষ্ণমাটি এলাকার জিরানগাছা খালে তল্লাশি চালায় ভারতীয় সিআইডি ও পোলেরহাট থানার পুলিশ। ব্যাপক তল্লাশির পরেও মরদেহের কোনো অংশ খুঁজে না পাওয়ায় দুপুর ২টার দিকে অভিযান বন্ধ করে দেন কর্মকর্তারা।
Advertisement
এদিনও ভাঙড়ের কৃষ্ণমাটি এলাকার জিরানগাছা খালে দুর্যোগ মোকাবিলা দল নামানো হয়। সেই সঙ্গে মরদেহের সন্ধান পেতে খালে জাল ফেলা হয়, নামানো হয় নৌকাও। মরদেহের অংশ খুঁজতে ড্রোনও ব্যবহার করা হয়।
এদিন স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। কিন্তু সফলতা পাননি তদন্তকারী কর্মকর্তারা। তবে একটি কালো ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে। যদিও তার ভেতরে কিছু পাওয়া যায়নি। পরে দুপুর ২টা ১০ মিনিটে অভিযান বন্ধ করে দেন কর্মকর্তারা।
এর আগে শুক্রবার (২৪ মে) এমপি আনারের মরদেহের সন্ধানে জোর অভিযান চালানো হয়। সেদিন ১২ দিনের হেফাজতে থাকা এই হত্যা মামলার আসামি জিহাদ হাওলাদারকে সঙ্গে নিয়ে কৃষ্ণমাটি এলাকায় অভিযান চালায় সিআইডি।
Advertisement
আরও পড়ুন:
এমপি আনারের মরদেহের খোঁজে ফের তল্লাশি শুরু এমপি আনোয়ারুলের লাশের টুকরোর সন্ধানে জোর তল্লাশি এমপি আনার হত্যা: তিন আসামি ৮ দিনের রিমান্ডে যেভাবে এমপি আনারের খণ্ডিত লাশ নিয়ে বের হন আমানুল্লাহ-জিহাদজিহাদকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তার বক্তব্য যাচাইয়ের পাশাপাশি তাকে সঙ্গে নিয়ে নিহত এমপির শরীরের অংশগুলো উদ্ধার করার চেষ্টা করা হয়। মরদেহের অংশ খুঁজে পাওয়ার পাশাপাশি এই খুনের ঘটনায় আর কারা জড়িত, তা নিশ্চিত হওয়াই এখন গোয়েন্দাদের প্রধান লক্ষ্য।
শুক্রবার বিকেলে আদালত থেকে জিহাদকে নিয়ে যাওয়া হয় কৃষ্ণমাটির জিরানগাছা খাল ও পার্শ্ববর্তী এলাকায়। সিআইডি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি পোলেরহাট থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান।
সেদিন সন্ধ্যা নামার আগেই একটি ব্যাগ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায়। দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা ওই ব্যাগটি একটি জঙ্গল থেকে উদ্ধারের পর রটনা ছড়ায়, সেটির মধ্যে এমপি আনারের লাশের টুকরো থাকতে পারে। যদিও তার ভেতর থেকে সন্দেহজনক কিছুই পাওয়া যায়নি।
Advertisement
আরও পড়ুন:
এমপি আনোয়ারুলের সঙ্গে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ছিল শিমুলের আনোয়ারুল আজীমের লাশের সন্ধানে সিআইডির তল্লাশি জিহাদ হাওলাদারকে ১২ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ এমপি আনারের বন্ধু গোপালকে নিয়েও দানা বাঁধছে সন্দেহগত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ আনোয়ারুল আজীম।
বাড়ি থেকে বেরোনোর পাঁচদিন পরে গত ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনোয়ারুল আজীম নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলে না তিনবারের এই সংসদ সদস্যের। বুধবার (২২ মে) হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় বহুতল সঞ্জীবা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া গেছে রক্তের ছাপ। তবে মেলেনি মরদেহ।
ডিডি/এসএএইচ/কেএএ