প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে জুডিসিয়ালি স্মার্ট হতে হবে। ন্যায়কুঞ্জ স্মার্ট জুডিসিয়ালের সামান্য একটি পদক্ষেপ। সকল মানুষের আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার আছে। সংবিধান জনগণকে সেই অধিকার দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি থেকে শুরু করে সকল বিচারক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছেন।
Advertisement
শুক্রবার (২৪ মে) দুপুরে দিনাজপুর আদালতে আইনি সহায়তা পেতে আসা মানুষদের জন্য ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা যে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছি এই ন্যায়কুঞ্জ তারই একটি অংশ। দিনাজপুরবাসী যারা বিচারের জন্য আসেন, যাদের বিচারের জন্য আসতে হয়, বিচার প্রার্থী ও জামিনে থাকা আসামিরা সামান্য সময় হলেও বিশ্রাম নিতে পারবেন এখানে।
তিনি আরও বলেন, আজ যে ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধন হলো তা সাবেক প্রধান বিচারপতির প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে হয়েছে। সাবেক প্রধান বিচারপতি যখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরলেন যে বিচারের জন্য আসা মানুষের জন্য বিশ্রামাগার দরকার, তখন প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন। ন্যায়কুঞ্জ ৬৪ জেলাতেই হবে।
Advertisement
ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, জেলা ও দায়রা জজ মো. যাবিদ হোসেন, স্পেশাল জজ মো. রেজাউল করিম সরকার, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার (বিচার) এসকেএম তোফায়েল হাসান, দিনাজপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলফিকার উল্লাহ, দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন, দিনাজপুর আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. তহিদুল হক সরকার ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আ ন ম হাবিবুল্লাহসহ প্রমূখ।
এমদাদুল হক মিলন/এফএ/এমএস