ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার দাবিতে বাংলাদেশের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শুক্রবার (২৪ মে) দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
Advertisement
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইসিসির চিফ প্রসিকিউটর নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির যে দাবি জানিয়েছেন, তা আমরা সমর্থন করি। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী এখন মানবতার শত্রুতে পরিণত হয়েছেন। তিনি এত দূর গেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের কথাও শুনছেন না।
এসময় ফিলিস্তিন ইস্যুতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর তীব্র সমালোচনা করেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত ইসলামের জন্য মায়াকান্না করে অথচ সমগ্র বিশ্ব যখন গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার, তখন তারা ফিলিস্তিনের পক্ষে একটি শব্দও বলে না। আর জামায়াতের ব্যাটারা ইসলাম-ইসলাম করে মুখে ফেনা তুলে ফেলে, অথচ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে, ফিলিস্তিনে হত্যার বিরুদ্ধে টুঁ শব্দও করে না। এভাবে চুপ থেকে বিএনপি-জামায়াত ইসরায়েলের, নেতানিয়াহুর দোসরে পরিণত হয়েছে।
গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের স্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ফিলিস্তিন রাষ্ট্র জরুরি। ইসরায়েলি বাহিনী নির্বিচারে গুলি করছে। মানুষ হত্যা করছে। বিশ্বের সবখানের জনগণ এখন ফিলিস্তিনের পক্ষে। তবে জাতিসংঘে যখন এ ইস্যু তোলা হয়, তখন কোনো কোনো দেশ ভেটো দেয়। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।
Advertisement
তিনি বলেন, ফিলিস্তিন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় সোচ্চার। তিনি ফিলিস্তিনের জন্য সাহায্য পাঠিয়েছেন। সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলছেন।
সভায় প্রধান আলোচক ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল বলেন, বাংলাদেশের অবস্থান ফিলিস্তিনের পক্ষে। ইসরায়েলের নৃশংসতার জন্য সবসময় নিন্দা জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ। ইসরায়েল বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিলেও বাংলাদেশ তা প্রত্যাখ্যান করেছিল।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিন ইস্যুতে আমাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট। আমরা দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান চাই। আল আকসার সঙ্গে মুসলমানদের আবেগ জড়িত। আমরা সেখানে মুসলমানদের আলাদা ভূখণ্ড, দেশ ও পতাকা চাই। এ বিষয়ে আমাদের সব সমর্থন ও সহযোগিতা থাকবে।
সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আওলাদ হোসেন বলেন, ফিলিস্তিনে মানবতা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। সেখানে শিশু, নারী ও পুরুষদের হত্যা করা হচ্ছে। সারা বিশ্বে এ নৃশংস হত্যাকে গণহত্যা বলে অভিহিত করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার মা বলেই ইসরায়েলের নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করছেন।
Advertisement
আইএইচআর/জেডএইচ/এএসএম