ফিচার

বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ চিত্রশিল্পী ১ বছরের লিয়াম

কথায় আছে না, প্রতিভা লুকিয়ে রাখা যায় না। তা প্রকাশ পাওয়া শুধু সময়ের ব্যাপার। কিন্তু সেই সময় কখন কার আসবে তা ঠিক বলা যায় না। তবে শুনলে অবাক হবেন বৈকি! মাত্র ৬ মাস বয়সেই ছবি আঁকার যে ঝোঁক বা ইচ্ছা তার প্রকাশ পেয়েছিল লিয়ামের।

Advertisement

যখন এস-লিয়াম হামাগুড়ি দিতেও শেখেনি তখনই তার ছবি আঁকার ব্যাপারে আগ্রহ টের পেয়েছিলেন তার মা। এখন লিয়ামের বয়স ১ বছর ১৫২ দিন। ঘানার ছোট্ট এস-লিয়াম নানা সাম আঙ্কারাহ এখন বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ পুরুষ শিল্পী। সম্প্রতি গিনেস বুক অব রেকর্ডে তার নাম উঠেছে।

লিয়ামের মা চ্যান্টেল, যিনি নিজেও একজন শিল্পী। তিনি মাত্র ৬ মাস বয়সে চিত্রকলার প্রতি এস-লিয়ামের আবেগ আবিষ্কার করেছিলেন। হামাগুড়ি দেওয়া যখন শিখছে লিয়াম, তখন লিয়াম খুব ছুটাছুটি করতো। তাকে এক জায়গায় বসিয়ে রাখা যেত না। তাই নিজের কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে মেঝেতে একটি বড় ক্যানভাস আর রং দিয়ে লিয়ামকে ব্যস্ত রাখতেন।

আরও পড়ুন

Advertisement

৫৮ বছর বয়সে সাড়ে ৪ ঘণ্টা প্লাঙ্ক করে বিশ্বরেকর্ড

কিন্তু লিয়াম খেলার ছলে এমন সব আঁকিবুঁকি করেছে ক্যানভাসে তা সত্যিই একটি শিল্প। দেখে মনেই হবে না কোনো শিশুর আঁকিবুঁকি এটা, প্রথম দেখায় মনে হতে পারে কোনো শিল্পী রং ছড়িয়ে ক্যানভাসে কোনো গল্প ফুটিয়ে তুলেছে।

এভাবেই শুরু, এরপর একের পর এক ক্যানভাস রাঙিয়েছে লিয়াম। তার নির্মিত ২০ টিরও বেশি পেইন্টিং ঘানার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘরে প্রথম গ্রুপ প্রদর্শনী, দ্য সাউন্ডআউট প্রিমিয়াম প্রদর্শনীতে অংশ নেয়। প্রদর্শনীতে ১০টি পেন্টিং বিক্রির জন্য রাখা হয়েছিল। যার মধ্যে ৯টি পেন্টিংও বিক্রি হয়ে যায়।

এখনো লিয়াম পুরোপুরি কথা বলতে শেখেনি। নিজের মনের মতো রং নিয়ে খেলতে পছন্দ করে সে। লিয়াম তার পেন্টিং শেষ হলে তার মাকে বলে, ‘মাম্মা শেষ’। লিয়ামের মা চ্যান্টেল তার সন্তানের আগ্রহকে প্রাধান্য দিয়েছেন সব সময়। এমনকি তিনি অন্য অভিভাবকদেরও পরামর্শ দেন, সন্তানের আগ্রহের ব্যাপারে তারা যেন নমনীয় হোন। তাদের যে কাজ পছন্দ তা তাদের করতে দেওয়া উচিত বলে মনে করেন চ্যান্টেল।

আরও পড়ুন

Advertisement

খালি পায়ে ৩ হাজার ৫০০ কিলোমিটার হেঁটে বিশ্বরেকর্ড রেকর্ড গড়তে ৪ ঘণ্টা বরফের বাক্সে বসে রইলেন তিনি

সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড অব রেকর্ড

কেএসকে/এমএস