আন্তর্জাতিক

পাখির একটি পালকের দাম ৩২ লাখ টাকা!

নিউজিল্যান্ডের ওয়াটেলবার্ড প্রজাতির ছোট্ট পাখি ছিল হুইয়া। চমৎকার গান গাইতো তারা। এটির পালকের বেশিরভাগই কালো আর লম্বা লেজের শেষ প্রান্ত ছিল সাদা। নিউজিল্যান্ডের আদিবাসী ও দ্বিতীয় বৃহত্তম জাতিগোষ্ঠী মাওরি সম্প্রদায়ের কাছে হুইয়া পাখি অত্যন্ত পবিত্র ও আভিজাত্য প্রকাশের অনুষঙ্গ। এক সময় মাওরি গোত্রপ্রধান ও তার পরিবারের সদস্য়দের মাথার মুকুটে হুইয়া পাখির পালক শোভা পেতো। আবার এই পাখির পালক উপহার হিসেবেও জনপ্রিয় ছিল এবং বিক্রিও করা হতো।

Advertisement

মিউজিয়াম অব নিউজিল্যান্ড থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৯০৭ সালে সর্বশেষ হুইয়া পাখি দেখা যায়। তার ২০-৩০ বছর পরও এই পাখি দেখতে পাওয়ার খবর পাওয়া গেলেও সেগুলোর নিশ্চিত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সোমবার বিক্রি হওয়া পালকটি খুব ভালো অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওয়েবস অকশন হাউসের ডেকোরোটিভ আর্টস বিভাগের প্রধান লিয়াহ মরিস। পালকটি ইউভি সুরক্ষিত কাঁচের বক্সের ভিতর রাখা আছে।

আরও পড়ুন: 

৪৫ দিন প্রশিক্ষণ, বেতন ২৫ হাজার, পেশা 'মোবাইল চুরি' বিয়ের মঞ্চে বউকে চুমু, বরপক্ষকে পেটালো কনের পরিবার মোবাইল কেড়ে নেওয়ায় বাবা-মা-বোনকে হত্যা

সোমবার (২০ মে) বিলুপ্ত এই পাখির পালকটি নিলামে ২৮ হাজার ৪১৭ ডলারে বিক্রি হয়, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩৩ লাখ ৩২ হাজার টাকা। নিলামকারী প্রতিষ্ঠান ভেবেছিল, পালকটি হয়তো সর্বোচ্চ তিন হাজার মার্কিন ডলারে বিক্রি হবে। কিন্তু সব ভাবনাকে ছাপিয়ে হুইয়া পাখির একটি পালক আগের রেকর্ড ভেঙে ৪৫০ গুণ বেশি দামে বিক্রি হয়েছে, গড়েছে বিশ্ব রেকর্ডও।

Advertisement

মিউজিয়াম অব নিউজিল্যান্ডের তথ্যানুযায়ী, ১৯০৭ সালে শেষবার এই হুইয়া পাখির দেখা পাওয়া যায়। তবে এর পরের ২০ থেকে ৩০ বছরেও পাখিটি দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় দাবিটির কোনো প্রমাণ নেই।

নিলামে বিক্রি হওয়া হুইয়া পাখির পালকটির ওজন মাত্র ৯ গ্রাম। পালকটি কেনার জন্য সংগ্রাহকদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিযোগিতা শুরু হয়, যা এটির দাম কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়।

আরও পড়ুন: 

তাজমহলকে কি টেক্কা দিতে পারবে ভারতের এই নতুন সমাধি? দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত দুই তরুণীর সেলফিকাণ্ডে হতবাক নেটিজেনরা ৩০ বছর আগে মারা যাওয়া মেয়ের জন্য পাত্র চেয়ে বিজ্ঞাপন!

নিলামকারী প্রতিষ্ঠান ওয়েবস অকশন হাউসের ডেকোরেটিভ আর্টস বিভাগের প্রধান লিয়াহ মরিস বলেন, সোমবার বিক্রি হওয়া পালকটি খুবই ভালো অবস্থায় ছিল। পালকটি দারুণ চকচকে অবস্থায় আছে এবং কোনো পোকা ওটার ক্ষতি করতে পারেনি। লিয়াহ মরিস আরও জানান, পালকটি সংরক্ষণের জন্য সূর্যরশ্মি থেকে নিরাপদ বিশেষ কাচের বাক্সে রাখা হয়েছে। সেটি মাওরিদের তৈরি জিনিসপত্র সুরক্ষার জন্য চালু করা টাওঙ্গা টুটুরু ব্যবস্থার আওতায় নিবন্ধিত। এ ব্যবস্থার আওতায় যাদের কাছে মাওরিদের তৈরি জিনিসপত্র সংগ্রহের অনুমোদন রয়েছে, কেবল তারাই এ ধরনের নিলামে অংশ নিতে পারেন। আবার নিউজিল্যান্ডের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া এসব জিনিস কেউ দেশের বাইরে নিতে পারেন না।

Advertisement

নিলামে বিক্রি হওয়া সবচেয়ে দামি পালকের আগের রেকর্ডটি ছিল আমেরিকান বাল্ড ঈগলের একটি পালক। যেটি ২০২০ সালের একই নিলামে আনুমানিক ২ হাজার ৬০০ ডলারে বিক্রি হয়েছিল।

সূত্র: বিবিসি

এসএএইচ