শিক্ষা

ফল কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুই মাসেও কাজ শুরু করেনি তদন্ত কমিটি

বোর্ড চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি মুক্তিযোদ্ধাদের ঘেরাও, অনশনসহ আন্দোলনের ঘোষণা

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিব ও সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্রের ফল জালিয়াতি কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা দুই মাসেও কার্যকর হয়নি। গঠিত তদন্ত কমিটিও এসময়ে কাজ শুরু করেনি। এ নিয়ে দ্রুত তদন্তসহ ফল জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত সচিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধারা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়। শিক্ষা বোর্ডটির বিভিন্ন পর্যায়ের ফলাফল কেলেঙ্কারি প্রশাসনিক জালিয়াতি এবং আর্থিক অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে এর আগে তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়ে আসছিলেন তারা।

এর আগে নারায়ণ চন্দ্রের বিরুদ্ধে নিজ সন্তানের ভর্তি, জিপিএ-৫ প্রাপ্তির টেম্পারিংসহ বিভিন্ন কেলেঙ্কারির চাঞ্চল্যকর দুর্নীতির তথ্য-প্রমাণ ধারাবাহিকভাবে গণমাধ্যমে প্রকাশের পর ১৬ এপ্রিল তিন সদস্যের কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়। অধিদপ্তরের মনিটরিং ও ইভালুয়েশান উইংয়ের পরিচালক মো. আমির হোসেনকে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়। কমিটিতে অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আশেকুল হক এবং ইএমআইএস সেলের খন্দকার আজিজুর রহমানকে সদস্য করা হয়।

বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র ট্রাস্ট চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহফুজের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের মাধ্যম হয়ে পুরো ঘটনা তদন্তের নির্দেশনা আসে। তবে দুই মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরও এ তদন্ত ফাইল উপেক্ষিত থাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সচেতন জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

Advertisement

এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা অতি দ্রুত তদন্ত কার্য সম্পাদন করে দায়ীকে যথাযথ শাস্তি দেওয়ার মাধ্যমে জাতির গুরুত্বপূর্ণ এ প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতিমুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধকালীন এফ এফ কমান্ডার নুরুদ্দিন, এফ এফ রাজা মিয়া, মোজাফফর আহমদ, মুনসুরুর রহমান, দেবপ্রসাদ, রেজাউল করিম কুসুম, বিএলএফ সুযশময় চৌধুরী, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব মহসিন কাজী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা শাহাদাত নবী খোকা, মহানগর আওয়ামী লীগ নেত্রী হাসিনা আক্তার টুনু, যুবলীগের মহানগর সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন হেলাল।

এমডিআইএইচ/এমআইএইচএস/জেআইএম

Advertisement