নতুন কারিকুলামে মূল্যায়ন পদ্ধতি কেমন হবে, তা এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এ নিয়ে এতদিন গণমাধ্যম ও বিভিন্ন সভা-সেমিনারে নানা খবর ও মতামত এলেও কোনো কিছুই চূড়ান্ত নয়।
Advertisement
অবশেষে মূল্যায়নের পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে কর্মশালা করতে যাচ্ছে এনসিটিবি। এটিকে তারা ‘ফাইন টিউনিং’ কর্মশালা হিসেবে উল্লেখ করছেন। ২৭ মে এ কর্মশালা হবে। এতে মতামত নেওয়ার পর ৩১ মে’র মধ্যে মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত করে তা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা বোর্ডগুলোতে পাঠাবে এনসিটিবি।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত করার পর শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং মূল্যায়নের জন্য নৈপুণ্য অ্যাপস প্রস্তুত করা হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে যারা ইনভিজিলেশন দেবেন, তাদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
Advertisement
জানা গেছে, নতুন কারিকুলামে এসএসসির মূল্যায়ন হবে ৬৫ ভাগ লিখিত ও ৩৫ ভাগ দক্ষতাভিত্তিক। প্রতি বিষয়ের মূল্যায়ন হবে ৫ ঘণ্টা করে। এরমধ্যে দুই ঘণ্টা হবে লিখিত মূল্যায়ন। বাকি তিন ঘণ্টায় দক্ষতাভিত্তিক কাজের মূল্যায়ন করা হবে। বছরজুড়ে যে ব্যবহারিক কাজ শিক্ষার্থীরা করবে, সেগুলোর কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে করে দেখাতে হবে।
নতুন কারিকুলাম গত বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে বাস্তবায়ন করা হয়। চলতি বছর বাস্তবায়ন করা হচ্ছে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে। ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে এ শিক্ষাক্রম চালু হবে।
বর্তমান কারিকুলামে দুই পদ্ধতিতে মূল্যায়ন হয়। এর একটি বছরজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিখনকালীন মূল্যায়ন, অন্যটি বছর শেষে সামষ্টিক মূল্যায়ন।
নতুন কারিকুলামের রূপরেখা অনুযায়ী- প্রাক্-প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা নেই। তিন শ্রেণিতে হবে শতভাগ শিখনকালীন মূল্যায়ন। চতুর্থ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সব বিষয়ে কিছু অংশের মূল্যায়ন হবে শিখনকালীন। বাকি অংশের মূল্যায়ন হবে সামষ্টিকভাবে।
Advertisement
এএএইচ/জেডএইচ/জিকেএস