দেশে কারাভোগের পর শেভরন কুমার (২৪) নামের এক ভারতীয় নাগরিককে তার পরিবারের হস্তান্তর করা হয়েছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ও ভারতের গেদে বন্দরের শূন্যরেখায় দুদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী, ইমিগ্রেশন, কাস্টমস ও থানা পুলিশের কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন শেভরন নাটোর জেলা কারাগারে প্রায় আড়াই বছর বন্দি ছিলেন। তার বাড়ি ভারতের বিহার রাজ্যের রানাগঞ্জে।
পুলিশ জানায়, বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে ২০২০ সালের ২ জানুয়ারি শেভরনকে আটক করে নাটোর জেলা পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। সেখানে ছিলেন ২০২২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এরপর তাকে চুয়াডাঙ্গা কারাগারে নেওয়া হয়। সাজার মেয়াদ শেষ হলে গত ৩০ এপ্রিল প্রত্যাবাসনের জন্য তাকে দর্শনা চেকপোস্ট সীমান্তে নেওয়া হয়। কিন্তু সেদিন তার কোনো অভিভাবক উপস্থিত না থাকায় ভারতীয় থানা পুলিশ তাকে গ্রহণ করেনি। ফলে আবার ঠাঁই হয় কারাগারে। বৃহস্পতিবার দুপুরে দর্শনা বন্দরের চেকপোস্ট দিয়ে শেভরন কুমারকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা সম্ভব হয়।
Advertisement
হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির দর্শনা আইসিপি কমান্ডার সুবেদার জামাল হোসেন, দর্শনা ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এসআই আতিক, দর্শনা থানার এসআই শামীম হোসেন, ডিএসবি সেলিম হোসেন প্রমুখ।
ভারতের পক্ষে ছিলেন গেদে ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এসি বিতাশী, গেদে ইমিগ্রেশন ইনচার্জ জেসি দে, কাস্টমস সুপার দিলীপ কুমার পাল, রামাতার পি যাদব, কৃষ্ণগঞ্জ থানার এসআই পরিভ্রান্ত শিং, ডিআইবি সাধন মন্ডল, রেডক্রস প্রতিনিধি চিত্তরঞ্জন, শেভরন কুমারের বাবা দেবনাথ ঋষি, দুলাভাই ছোটু কুমার প্রমুখ।
শেভরন কুমারের বাবা দেবনাথ ঋষি বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ। দীর্ঘদিন পর সবার প্রচেষ্টায় আমার পাগলকে ফিরে পেলাম।’
হুসাইন মালিক/এসআর/জেআইএম
Advertisement