দেশজুড়ে

হিডাহুডা খাইয়েন না, কেন্দ্রে-টেন্দ্রেও যাইয়েন না: কাদের মির্জা

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা জামায়াত-বিএনপির ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘হিড়া-হুড়া খাইয়েন না, কেন্দ্রে-টেন্দ্রে যাইয়েন না।’ বুধবার (২২ মে) সন্ধ্যায় বসুরহাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে বাসমালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

Advertisement

এসময় কাদের মির্জা বলেন, ‘জামায়াত-বিএনপির ভাইয়েরা আপনারা আওয়ামী লীগ মানেন না, সরকার মানেন না, নির্বাচন কমিশন মানেন না, ভোট মানেন না। আপনারা ভোটকেন্দ্রে যাবেন না।’

এসময় তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘হিড়া-হুড়া খাইয়েন না, কেন্দ্রে-টেন্দ্রেও যাইয়েন না (মাইর-ধর খাইয়েন না, ভোটকেন্দ্রেও যাইয়েন না)।’

কাদের মির্জা আরও বলেন, ‘ভোট ২৯ তারিখ (২৯ মে) শেষ হয়ে যাবে। তারপর চিহ্নিত করা হবে। যারা কেন্দ্রে গিয়ে উল্টা ভোট দেবেন তাদের চিহ্নিত করা হবে। জামায়াত-বিএনপি কেন্দ্রে যাবেন না। এটা আপনাদের ভোট নয়, আপনারা ভোটে বিশ্বাস করেন না।’

Advertisement

সভায় সভাপতিত্ব করেন, বৃহত্তর নোয়াখালী বাস মালিক সমিতির সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আকরাম উদ্দিন চৌধুরী সবুজ। এতে কাদের মির্জা সমর্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল (আনারস), ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন বাবর (চশমা) ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী পারভীন মুরাদসহ (ফুটবল) অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ, সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় ভোট হবে। কোম্পানীগঞ্জের এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

চেয়ারম্যান পদে গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল (আনারস) ছাড়া অন্য প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই শাহাদাত হোসেন (টেলিফোন), কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল (দোয়াত কলম) ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ওমর আলী রাজ (মোটরসাইকেল)।

এদিকে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা তার সমর্থিত তিন প্রার্থীকে জেতাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এজন্য তিনি প্রতিদিন একাধিক সভা-সমাবেশে আপন ছোটভাই চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাত হোসেন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে বেড়াচ্ছেন।

Advertisement

ইকবাল হোসেন মজনু/এফএ/এএসএম