জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কারিগরি শিক্ষা ও শোভন কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইউসেপ নামক ‘কর্মজীবী বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠায় পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন। তিনি বলেন, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে ইউসেপ বাংলাদেশ।
Advertisement
ইউসেপ’র সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বুধবার (২২ মে) রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের উন্নয়ন, সুরক্ষা ও বিকাশের পাশাপাশি মানবসম্পদ উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন। যুবসমাজকে কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানে উদ্বুদ্ধ করে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডকে কাজে লাগাতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হয়েছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও সমান সুযোগ দিতে হবে।
Advertisement
উন্নত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে তরুণ প্রজন্ম নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। তিনি বলেন, দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্য নিয়ে ইউসেপ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অস্বচ্ছল পরিবারের সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা আজ কর্মসংস্থানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন- এটাই ইউসেপের সফলতা।
এসময় স্পিকার ইউসেপের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সম্প্রসারণে সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং ইউসেপের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।
ইউসেপ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. মো আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব আব্দুল করিম। ইউসেপ বোর্ড অব গভর্নরসের সাবেক চেয়ারম্যান পারভীন মাহমুদ, ইউসেপ অ্যাসোসিয়েশনের সম্মানিত সদস্য জেবা রশীদ চৌধুরী, এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলমসহ সম্মানিত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশে কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকলস এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে ইউসেপ বাংলাদেশের বোর্ড অব গভর্নরসের ডিরেক্টর, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন স্তরের সদস্য, ছাত্র-ছাত্রী, দেশি-বিদেশি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি, আমন্ত্রিত অতিথি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
আইএইচআর/এমএএইচ/জিকেএস