পাতালপথে দেশের প্রথম মেট্রোরেল ‘এমআরটি লাইন-১’ এর নির্মাণকাজ চলমান। প্রকল্পের কাজ আরও এগিয়ে নিতে ৬০ কোটি ৬০ লাখ টাকা বাড়তি বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। এরই মধ্যে পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে সংস্থাটি।
Advertisement
পরিকল্পনা কমিশন থেকে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে মোট বরাদ্দ ছিল এক হাজার ১৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আরএডিপিতে প্রস্তাবিত পুনর্নির্ধারিত বরাদ্দের আওতায় আরও ৬০ কোটি ৬০ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে। ফলে এই অর্থবছরে প্রকল্পের আওতায় এক হাজার ৭৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা খরচ করা যাবে। এর ফলে প্রকল্পের কাজ আরও দৃশ্যমান হবে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
ডিএমটিসিএল জানায়, ২০২৬ সালের মধ্যে আনুমানিক ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর এবং পূর্বাচল থেকে নতুনবাজার পর্যন্ত মাটির নিচ দিয়ে ও এলিভেটেড উভয় সুবিধাসংবলিত এমআরটি লাইন-১ নির্মাণ করা হবে। ২০৩০ সাল নাগাদ রাজধানী ঢাকায় মোট ছয়টি মেট্রোরেল রুট উদ্বোধন করা হবে।
আরও পড়ুনমেট্রোরেলের উত্তরা-টঙ্গী রুটে হবে ৫ স্টেশনপ্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, এমআরটি লাইন-১ এর দুটি অংশ থাকবে। একটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত (বিমানবন্দর রুট) ১৯ দশমিক ৮৭২ কিলোমিটার অংশ। এটি হবে ভূগর্ভস্থ এবং এতে ১২টি স্টেশন থাকবে। অপর অংশটি নতুনবাজার থেকে প্রায় ১১ দশমিক ৩৭ কিলোমিটার এলিভেটেড লাইনসহ পূর্বাচল পর্যন্ত (পূর্বাচল রুট)। এতে সাতটি স্টেশন থাকবে।
Advertisement
অন্যদিকে বিমানবন্দর রুটের অংশ হিসেবে নতুনবাজার এবং নর্দ্দা স্টেশন হবে ভূগর্ভস্থ। বাংলাদেশ সরকার ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন (জাইকা) এমআরটি লাইন-১ এর নির্মাণকাজের জন্য ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি ৪৩ লাখ টাকার ব্যয়ভার বহন করবে।
এর মধ্যে জাইকা প্রকল্প সহায়তা (পিএ) হিসেবে দেবে ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি ৩২ লাখ টাকা এবং বাংলাদেশ সরকার দেবে ১৩ হাজার ১১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। জাপানি ফার্মের নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়াম বিমানবন্দর-কমলাপুর-পূর্বাচল মেট্রো লাইন নির্মাণকাজ তদারকি করবে।
এর আগে ২০১৯ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি ৪৩ লাখ টাকায় এমআরটি লাইন-১ প্রকল্প অনুমোদন দেয়।
এমওএস/ইএ/জেআইএম
Advertisement