স্বর্ণের প্রতি সব নারীদেরই কমবেশি আকর্ষণ আছে। এ কারণে দাম যতই বাড়ুক না কেন, থেমে নেই সোনা বেচাকেনা। শুধু গয়না হিসেবে নয়, সম্পদ হিসেবেও সোনার চাহিদা তুঙ্গে।
Advertisement
এ কারণে সোনার দাম কমার খবর শুনতেই একদল মানুষ ছুটে যান জুয়েলারির দোকানে। আবার অনেকে একটু কম দামে অনেক ব্যক্তির কাছ থেকেও সোনা কেনেন। এক্ষেত্রে প্রতারিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
সোনা প্রধানত ক্যারেটে মাপা হয়। আর এর বিশুদ্ধতার বিভাজনের জন্য ১০ ক্যারট, ১৪ ক্যারট, ১৮ ক্যারট, ২২ ক্যারট ও ২৪ ক্যারেটের সোনা পাওয়া যায়। তবে আমাদের দেশে ১৮-২৪ ক্যারেটের সোনা বেশি বিক্রি হয়।
খাঁটি সোনা চেনার কৌশল কী?
Advertisement
হলমার্ক দেখে নিন
খাঁটি সোনা চেনার সবচেয়ে সহজ উপায় হলমার্ক। আপনি যে গয়না কিনছেন সেখানে হলমার্ক চিহ্ন আছে কি না তা আগে দেখুন।
এই হলমার্ক চিহ্ন সাধারণত গয়নার ভেতরের দিকে থাকে। এতে ক্যারট অনুযায়ী ২৪, ২২ বা ১৮ এই নম্বরগুলি লেখা থাকে। নম্বর বেশি মানে সোনার গুণগত মান তত ভালো।
আরও পড়ুন
Advertisement
নাইট্রিক অ্যাসিড
নাইট্রিক অ্যাসিড সোনার সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে না। তবে অন্য যে কোনো ধাতুর সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া করবে। কাজটি করার জন্য গয়না বা সোনার কয়েন থেকে সামান্য একটু অংশ ঘষে সংগ্রহ করে নিতে হবে।
তারপর একটা ড্রপারে নাইট্রিক অ্যাসিড ভরে তা সংগ্রহ করা সোনার উপরে ফোঁটা ফোঁটা করে ফেলুন। যদি দেখেন রঙ পরিবর্তন হচ্ছে না, তবে বুঝবেন সোনা খাঁটি।
যদি দেখেন রং বদলে যাচ্ছে এবং তাতে হালকা সবুজ আস্তরণ পড়ছে, তাহলে বুঝতে হবে সোনা খাঁটি নয়। এতে অন্য ধাতু যেমন তামা বা ব্রোঞ্জ মেশানো আছে।
পানি দিয়েও পরীক্ষা করা যায়
একটি বড় গামলায় দুই গ্লাস পানি দিন। তাতে সোনার গয়না ফেলে দেখুন সেটা ভাসে কি না তা দেখুন। যদি ভাসে তবে বুঝতে হবে সেটি নকল। খাঁটি সোনা পানিতে তাড়াতাড়ি ডুবে যাবে।
চুম্বকের সাহায্য নিন
সোনা খাঁটি নাকি অন্য ধাতুর মিশ্রণ আছে সেটা বোঝার সহজ কৌশল হল চুম্বকের সাহায্যে পরীক্ষা করা। একটা ভালো মানের শক্তিশালী চুম্বক সংগ্রহ করতে হবে।
তারপর আপনার কেনা সোনার গয়নার কাছে ধরুন, যদি দেখেন আটকে যাচ্ছে তবে বুঝবেন খাঁটি নয়। কারণ চুম্বক সোনাকে আকৃষ্ট করে না।
সিরামিকের প্লেট
একটি সিরামিকের প্লেট নিন। তার উপর সেনার গয়না আস্তে আস্তে ঘষুন। যদি দেখেন প্লেটের উপর কালচে দাগ পড়ছে, তবে বুঝবেন আপনি ঠকেছেন।
সূত্র: ফোর্বস
জেএমএস/এএসএম