জাতীয়

আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজের কাউন্সিল সভা

আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজের ১৭তম কাউন্সিল অব দ্য কলেজ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

Advertisement

মঙ্গলবার (২১ মে) ঢাকা সেনানিবাসে আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, মেজর জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা, অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মুহাম্মদ যুবায়ের সালেহীন, কমান্ড্যান্ট আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ মেজর জেনারেল কাজী মো. রশীদ-উন-নবী ছাড়াও প্রতিরক্ষা, অর্থ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

১৯৯৭ সালে আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল ইনস্টিটিউটের বিদ্যমান স্থাপনায় আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ চালুর সিদ্ধান্ত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালের ১৯ মার্চ কলেজের স্থায়ী ভবন নির্মাণের নামফলক উন্মোচন করেন।

Advertisement

১৯৯৯ সালের ২০ জুন ৫৬ জন মেডিকেল ক্যাডেট নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তির মাধ্যমে আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে ২০০৮ সালের ৫ জুন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের অধিভুক্ত হয়।

বর্তমানে এই কলেজে ৬ শিক্ষাবর্ষে মোট ৭৬৩ জন ক্যাডেট অধ্যয়নরত। এ পর্যন্ত ২০টি ব্যাচে বিদেশি ক্যাডেটসহ মোট এক হাজার ৬৭৮ জন চিকিৎসক হয়েছেন। যারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং জাতিসংঘ শান্তি মিশনসহ দেশে-বিদেশে কর্মরত। অন্য ব্যাচগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী চলমান।

আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজে শিক্ষার মান সবসময় উন্নত, যা বিভিন্ন পেশাগত এমবিবিএস পরীক্ষায় প্রতিফলিত হচ্ছে। বিইউপির অধীনে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন পেশাগত এমবিবিএস পরীক্ষার ফলাফলে এ কলেজের পাশের হার শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম। আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ দেশের একমাত্র আবাসিক চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

সভায় আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ পরিচালনা সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

Advertisement

টিটি/কেএসআর