ক্যাম্পাস

প্রথমবারের মতো ডিনস অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন জবির ৪৭ শিক্ষার্থী

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) স্নাতকে (সম্মান) সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে প্রথমবারের মতো ডিনস অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছেন ৪৭ শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত অনুষদের ৩৯ বিভাগের চার বছর মেয়াদি স্নাতক চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সর্বোচ্চ মেধাবীদের জন্য এ অ্যাওয়ার্ড চালু হয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার (২১ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও ডিনস অ্যাওয়ার্ড কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. শাহজাহান এ তথ্য জানান।

অধ্যাপক মো. শাহজাহান বলেন, এবার ডিনস অ্যাওয়ার্ড নীতিমালা অনুযায়ী ৪৭ জনকে আমরা মনোনীত করেছি। যদিও প্রতি বিভাগ থেকে একজন করে এ অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার কথা।

তিনি আরও বলেন, আগামী ৬ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদানের কথা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য অ্যাওয়ার্ড হিসেবে আমরা একটি সার্টিফিকেট ও মেডেলের ব্যবস্থা করেছি। যা তাদের পরবর্তী শিক্ষাজীবনে অনুপ্রেরণা ও চাকরির বাজারে এগিয়ে রাখবে।

Advertisement

নীতিমালা অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়য়ের সব অনুষদের আওতাধীন প্রতিটি বিভাগ থেকে স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জনকারী একজন করে শিক্ষার্থী এ অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে মনোনীত করা হবে। এ অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হতে স্নাতক চূড়ান্ত পরীক্ষায় ন্যূনতম সিজিপিএ ৩ দশমিক ৭৫ থাকতে হবে। একই বিভাগে একাধিক শিক্ষার্থী সমান সিজিপিএ অর্জন করলে তাদের প্রথম থেকে অষ্টম সেমিস্টার পর্যন্ত প্রাপ্ত মোট নম্বর বিবেচনা করা হবে। এরপরও সমতা থাকলে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল বিবেচনা করে চূড়ান্ত প্রার্থী মনোনয়ন পাবেন।

এসব মানদণ্ড বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ ও ২০১৭-১৮ দুই শিক্ষাবর্ষ মিলিয়ে কলা অনুষদ থেকে নয়জন, বিজ্ঞান অনুষদ থেকে ছয়জন, ব্যবসায়ী শিক্ষা অনুষদ থেকে আটজন, সামজিক বিজ্ঞান অনুষদ থেকে সাতজন, আইন অনুষদ থেকে দুইজন, লাইফ অ্যান্ড সায়েন্স অনুষদ থেকে ১৩ জন এবং চারুকলা অনুষদ থেকে দুইজনকে দেওয়া হবে এ অ্যাওয়ার্ড।

ডিনস অ্যাওয়ার্ড বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, আমরা ডিনস অ্যাওয়ার্ডের জন্য সবকিছু চূড়ান্ত করেছি। ঈদের পরে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাদের এটি প্রদান করা হবে। একই সঙ্গে আমরা একজন মোটিভেশনাল স্পিকার নিয়ে আসার চেষ্টা করছি।

আরএএস/কেএসআর

Advertisement