জাতীয়

বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতি না থাকলে দেশ আরও এগিয়ে যেতো

বিএনপির সাংঘর্ষিক ও নেতিবাচক রাজনীতি না থাকলে দেশ আরও এগিয়ে যেতে পারতো বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

Advertisement

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি এখন পরজীবী হয়ে গেছে। তাই রিকশাচালকদের আন্দোলনে ঢুকে গেছে। নিজেদের কোনো ক্ষমতা নেই। অন্যের প্রতি আশ্রিত হয়ে দেশের ভেতর গন্ডগোল করার চেষ্টা করছে। বিএনপি নির্বাচন প্রতিহত করার নাম করে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। দেশবিরোধী অবস্থানে চলে গেছে। তারা এখন অন্যের ওপর আশ্রিত দল হয়ে গেছে।

আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত ৬৫ বছরে এই অঞ্চলে ভূমির পরিমাণ কমেছে। পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হয়েও ১৪টি কৃষিপণ্য উৎপাদনে বিশ্বের সেরা ১০টি দেশের মধ্যে আমরা রয়েছি। অথচ আমাদের দেশের আয়তন পৃথিবীর অনেক দেশ থেকে কম।

Advertisement

‘পৃথিবীর অনেক দেশের চেয়ে আমাদের গ্রোথ রেট বেশি। এমনকি পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশের চেয়েও বেশি। করোনার ধাক্কা যাওয়ার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে পৃথিবীর প্রায় সব দেশে। তবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আর এটি সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে।’ যোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

আরও পড়ুন

ভিসানীতিতে আজিজকে নিষেধাজ্ঞা দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মিট দ্য রিপোর্টার্সে মন্ত্রী গত জাতীয় নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, নির্বাচনের পর সবাই তাকিয়েছিল বিশ্ব সম্প্রদায় বর্তমান সরকারকে কীভাবে গ্রহণ করে। বিশ্ব সম্প্রদায় বর্তমান সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছে। ৮০টি দেশের সরকারপ্রধান অভিনন্দন জানিয়েছেন। ৩২টি আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন ৪২ শতাংশ ভোট বেশি না। কিন্তু গত তিন বছরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেক দেশে ভোট হয়েছে, এর মধ্যে বেশিরভাগ দেশে ৪০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে। কিন্তু ওসব দেশে ভোটবর্জনের ঘোষণা ছিল না, নির্বাচন প্রতিহত করার কর্মসূচিও ছিল না। আমাদের দেশে নির্বাচন বর্জন ও প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছিল কয়েকটি রাজনৈতিক দল।

Advertisement

ড. হাছান আরও বলেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সাংবাদিকদের আস্থার জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি তখন তথ্য মন্ত্রণালয়ে। আমি অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে আমাদের মন্ত্রণালয়ের অব্যবহৃত অর্থ দিয়ে করোনাকালীন সহায়তার জন্য ফান্ড করেছিলাম। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ কোটি টাকা সহায়তা দেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, সত্যিকার অর্থে যারা গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করছে, ভিসানীতি তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর করা উচিত। যারা নির্বাচন প্রতিহত করতে চেয়েছে, পুলিশ পিটিয়ে মেরেছে, হত্যা, অগ্নিসন্ত্রাস করেছে তাদের বিরুদ্ধে ভিসানীতি (কার্যকর) হওয়া উচিত।

আইএইচআর/ইএ/এএসএম