আন্তর্জাতিক

দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত দুই তরুণীর সেলফিকাণ্ডে হতবাক নেটিজেনরা

নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে মেক্সিকোর দুই তরুণীর সেলফিকাণ্ড। ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত অবস্থায় তাদের সেলফি তোলার দুটি ছবি ও একটি ভিডিও নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।

Advertisement

মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক পোস্টের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ঘটনা মেক্সিকোর কুয়েরনাভাকা শহরের। শনিবার (১৮ মে) শহরটির লোমাস দেল মিরাদোর এলাকায় ভয়াবহ একটি গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটে। চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে গাড়িটি দুর্ঘটনার শিকার হয় ও দুমড়ে-মুচড়ে যায়।

সেসময় গাড়িটিতে পাঁজন নারী ছিলেন। দুর্ঘটনায় গাড়িতে থাকা সবাই কম-বেশি আহত হন। কিন্তু গাড়ি থেকে বের হয়ে আসার পর তাদের মধ্যে দুই তরুণীকে ফুটপাতে বসে একসঙ্গে সেলফি তুলতে দেখা যায়। সেসময় ওই দুজনের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখমের চিহ্ন দেখা যায় ও একজনের মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছিল। ওই অবস্থায়ই সেলফি তুলতে থাকেন তারা।

#VIDEO #ULTIMAHORA Irresponsables mujeres alcoholizadas vuelcan sobre calle Coronel Ahumada bajando por Casa de Piedra hacia calle Cuauhtemoc en #Cuernavaca #Inseguridad #Morelos pic.twitter.com/lwFXgcIgPs

Advertisement

— X Un MoReLoS + SeGuRo. (@Mor_en_lucha) May 18, 2024

এক্সে (পূর্বে টুইটারে) ছড়িয়ে পড়া একটি পোস্টে দেখা গেছে, দুমড়ে-মুচড়ে উল্টে থাকা গাড়ির পাশে বসেই সেলফি তুলছেন দুজন। একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ এসে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার সময় ওই দুই তরুণীর একজন ঠিকমতো হাঁটতে পারছেন না ও একপর্যায়ে তিনি তার সঙ্গে থাকা আরেকজন ফুটপাতে বসে পড়েন।

পুলিশের ধারণা, গাড়িতে থাকা পাঁচ তরুণীর সবাই মদ্যপ অবস্থাই ছিলেন। তাদের মধ্যে যিনি চালক ছিলেন, তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার বিশদ বিবরণ এখনো পাওয়া যায়নি ও মেক্সিকান কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনাটি তদন্ত করছে।

এদিকে, ওই দুই তরুণীর কাণ্ড দেখে হতবাক নেটিজেনরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ও ছবি ছড়িয়ে পর পর অসংখ্য মানুষ পোস্টটির কমেন্ট সেকশনে মন্তব্য করছেন। একজন লিখেছেন, এদের গুরুতর মানসিক সমস্যা রয়েছে। আরেকজন মন্তব্য করেছেন, তাদের আচরণই বলে দিচ্ছে যে, তারা কত বোকা।

অন্য এক এক্স ব্যবহারকারী লিখেছেন, আমি শুধু ভাবি, কেন আমাদের জীবনের সব ঘটনার সেলফি তুলতে হবে! অন্যদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা আসলেই চরম মাত্রায় পৌঁছেছে, যা হাস্যকর ও বিপজ্জনক।

Advertisement

সূত্র: এনডিটিভি

এসএএইচ