দেশজুড়ে

রামগঞ্জে ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টায় পুলিশের ধাওয়া, আটক ৫

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে পশ্চিম কাজিরখীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র দখলের চেষ্টায় ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ মে) বেলা ১১টার দিকে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে দখলের চেষ্টা করেন। পরে পুলিশের ধাওয়ায় হামলাকারীরা পালিয়ে যান। দুপুর ১২টা পর্যন্ত কেন্দ্র এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করে।

Advertisement

এদিকে পালিয়ে যাওয়ার পথে তারা একটি মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করেন। এ সময় অটোরিকশাচালক বৃদ্ধ মনু মিয়াকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ছিলেন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রিয়াংকা দত্ত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মেহের নিগার, রামগঞ্জ উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন ইসলাম ও পুলিশ-বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা ভোটারদেরকে কেন্দ্রে আসতে বাধা দিচ্ছেন। পথে পথে ভোটারদেরকে বাধা দেওয়া হয়। এতে অনেক ভোটার ভোট না দিতে পেরে ফিরে গেছেন। ঘটনার সময় তারা দখলের জন্য কেন্দ্রে ঢুকে পড়েন। একপর্যায়ে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গিয়ে তাদেরকে ধাওয়া করে। এতে তারা পালিয়ে যান।

Advertisement

এদিকে হামলাকারীরা চাটখিল-রামগঞ্জ সড়কে একটি মোটরসাইকেল ও একটি অটোরিকশা ভাঙচুর করেন। এ সময় অটোরিকশা চালক মনু মিয়াকে পিটিয়ে আহত করা হয়। আহত মনু মিয়াকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠায় প্রশাসন। আর ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৫ জনকে আটক করে পুলিশ। তবে কারো নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

তবে হামলা বা কেন্দ্র দখলের চেষ্টার ঘটনায় প্রশাসনের কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

আহত রিকশাচালক মনু মিয়া কান্নায় ভেঙে পড়েন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বাড়ি করপাড়া বদরপুর গ্রামে। আমি ভাড়া নিয়ে এসেছি। ৫ জন যাত্রী ছিল। হঠাৎ করে একদল লোক আমার গাড়ি ভাঙচুর করে। আমার ডান হাতে লাঠি দিয়ে আঘাত করেছে। আমার হাত ভেঙে গেছে।

পশ্চিম কাজিরখীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান বাচ্চুর (মোটরসাইকেল) কেন্দ্র। গত পৌরসভা নির্বাচনেও দেওয়ান বাচ্চুর ভাই দেওয়ান ফয়সাল একজন কাউন্সিলরের সমর্থন নিয়ে কেন্দ্রটি দখলের চেষ্টা করে। ওইসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে। তখন ঘটনাটি নিয়ে গণমাধ্যমগুলোতে সংবাদ প্রকাশ হয়।

Advertisement

কাজল কায়েস/এফএ/জেআইএম