আন্তর্জাতিক

তীব্র দাবদাহে ভারতে শতাধিক প্রাণহানি

গ্রীষ্মের আগাম দাবদাহে ভারতে শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। তীব্র গরমে দেশটির স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে; বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন নির্মাণ কাজ। বৃহস্পতিবার দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের। কয়েক দশকের মধ্যে গত বছর সবচেয়ে বড় ধরনের দাবদাহ দেখা গেছে প্রতিবেশি দেশ পাকিস্তানে। দেশটিতে খরার কারণে এখনো কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ৫ শ` রেসপন্স কেন্দ্র চালুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এসব কেন্দ্র খরা কবলিত লোকজনকে আশ্রয় ও ঠাণ্ডা পানি সরবরাহ করবে। দেশটির সরকারি এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।মে এবং জুন মাসে ভারতে সবচেয়ে গরম থাকে; কিন্তু কিছু রাজ্যে ইতিমধ্যে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, পরিস্থিতি মোকাবেলায় জরুরি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণাঞ্চলের তেলেঙ্গানায় তীব্র গরমে ৪৫ জন ও অন্ধ্রপ্রদেশে ১৭ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া উড়িষ্যায় অন্তত ৪৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এসব প্রাণহানির ঘটনায় তদন্ত করা হচ্ছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান। ভারতীয় আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক ওয়াই কে রেড্ডি বলেন, তেলেঙ্গানায় ২০০৬ সালের পর থেকে চলতি এপ্রিলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তেলেঙ্গানায় নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। আবহাওয়া বিভাগ লোকজনকে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। গত সপ্তাহ থেকে তেলেঙ্গানার সব স্কুলে আগামী দুই সপ্তাহের জন্য গ্রীষ্মকালীন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত উড়িষ্যায় স্কুল বন্ধ ও দিনের গরম ভাগে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।তবে সবচেয়ে বড় সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন দেশটির ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। ‘দুপুরের আগেই আমি দোকান বন্ধ করেছি কারণ প্রচুর গরম’- বলেন উড়িষ্যার ভূবনেশ্বর শহরের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তুলু সাহা। তিনি বলেন, ‘আপনি দোকানে অবস্থান করতে পারবেন না’। পাকিস্তানে গত বছর রমজান মাসে তীব্র গরমে এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। দাবদাহ জনিত কারণে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি সামাল দিতে কাজ শুরু করেছে দেশটি। করাচি জিন্নাহ হাসপাতালের দুর্ঘটনা ও জরুরি বিভাগের প্রধান সিমিম জামালি বলেন, ‘পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব ধরনের সরবরাহ ও কর্মী প্রস্তুত রয়েছে।’এসআইএস/এবিএস

Advertisement