আন্তর্জাতিক

পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতার মধ্যে শেষ হলো পঞ্চম দফার ভোট

ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফা ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। সোমবার (২০ মে) সকাল ৭টায় শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টায় এই ভোটগ্রহণ শেস হয়। এ দফায় পশ্চিমবঙ্গে বনগাঁ, ব্যারাকপুর, হাওড়া, শ্রীরামপুর, হুগলি, উলুবেরিয়া ও আরামবাগ- এই ৭টি আসনে ভোট হয়েছে। দুপুর ৩টা পর্যন্ত ভোটদানের হার ছিল ৬২ দশমিক ৭২ শতাংশ।

Advertisement

এদিন সকালে ভোটগ্ৰহণ শুরু হয় শান্তিপূর্ণভাবেই। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাত আসনেই সহিংসতার ঘটনা ঘটে। সবচেয়ে বেশি সহিংসতা ঘটেছে ব্যারাকপুর, হুগলি ও হাওড়াতে। রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগও দিতে থাকে। নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে কমিশনের কাছে প্রায় এক হাজারটি অভিযোগ জমা পড়েছে।

আশ্চর্যের বিষয় হলো, এবার লোকসভা নির্বাচনের ভোটই দিতে পারলেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর ভাই স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গেছে,হাওড়া লোকসভা আসনের ভোটার তিনি। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ভোটার তালিকা থেকে বাদ হয়ে গেছে তার নাম। স্বপনের নামের উপরে লেখা ‘ডিলিটেড’। তাই ভোট আর দেওয়া হয়নি তার।

জানা গেছে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাওড়ার লিলুয়ার বজরঙবলী মার্কেটের কাছে বুথের বাইরে বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বুথ থেকে পালিয়ে যান ভোটাররা।

Advertisement

ব্যারাকপুর আসনের আমডাঙায় বিজেপির এক কর্মীর বাড়ি ভেঙে ফেলার অভিযোগ ওঠে। বুথ জ্যাম, জাল ভোট, বিজেপির এজেন্টদের কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এছাড়া বিজেপি নেতা ও কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী কোস্তভ বাগচীর গাড়ি ভাঙচুরেরও অভিযোগ ওঠে তৃনমূল কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ব্যারাকপুর আসনের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংকে দেখে গো ব্যাক স্লোগান ও কালো পতাকাও দেখানো হয়।

হাওড়ায় বিজেপি এজেন্টদের কেন্দ্রে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তাছাড়া এই আসনের একটি ভোটকেন্দ্রের কাছে আইএসএফ কর্মীদের মারধর ও ক্যাম্প ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

বনগাঁ আসনের গয়েশপুর আনন্দ পল্লীর অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলের ২৬৭ নম্বর কেন্দ্রে বিজেপি এজেন্টকে থেকে বের করে দেয় তৃণমূল। ওই কেন্দ্রের গয়েশপুর বেদীভবনের কাছে রাস্তার উপর বিজেপির স্থানীয় নেতা সুবীর বিশ্বাসকে রাস্তায় ফেলে মারধরও করেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। একইসঙ্গে আক্রান্ত হন বিজেপিকর্মী জয়ন্ত জয়ধর।

আক্রান্ত সুবীর বিশ্বাসের অভিযোগ, ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল। প্রতিবাদ করায় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করেন।

Advertisement

অন্যদিকে, ভোটের ডিউটি করতে এসে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ওঠে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানায় তৃণমূল কংগ্রেস। তারপরই নড়েচড়ে বসে নির্বাচন কমিশন। সঙ্গে সঙ্গে সরিয়ে দেওয়া হয় বিএসএফের এক জওয়ানকে।

ডিডি/এসএএইচ