দেশজুড়ে

দেশি লিচু এবার আকারে ছোট, স্বাদেও টক

পাবনার ঈশ্বরদীতে মোজাফ্ফর জাতের (দেশি) লিচু বেচাকেনা শুরু হয়েছে। ১০০ পিস লিচু ২৫০-৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে অন্যবারের তুলনায় এবার লিচু আকারে ছোট ও স্বাদে টক। উপজেলার জয়নগর শিমুলতলা লিচু হাটে গিয়ে দেখা যায়, চাষি ও ব্যবসায়ীরা দেশি লিচু হাটে এনেছেন। তবে এখনো বোম্বাই লিচু না ওঠায় হাটে তেমন ভিড় নেই। লিচু আকারে ছোট।

Advertisement

জয়নগর শিমুলতলা হাটের লিচু ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে এ হাটে দেশি লিচু বেচাকেনা শুরু হয়েছে। প্রতিদিনই হাটে লিচুর আমদানি বাড়ছে।

তিনি আরও বলেন, দেশি জাতের লিচু এমনিতেই আকারে ছোট; এবার আরও ছোট হয়েছে। প্রচণ্ড খরা ও তাপপ্রবাহের কারণে এবার লিচুর আকার ছোট হয়েছে।

মানিকনগর গ্রামের লিচু চাষি মোস্তফা জামান নয়ন বলেন, লিচুর গুটি আসার পর থেকেই টানা একমাস ঈশ্বরদীতে তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল। তাপমাত্রা ৩৬-৪৩ ডিগ্রিতে ওঠানামা করেছে। লিচু পাকার এক সপ্তাহ আগে হলুদ ও লালচে রং ধারণের সময় লিচুর ওপরের আবরণ কালচে হয়ে ফেটে যেতে শুরু করে। এবার আকারও ছোট হয়েছে। স্বাদও তুলনামূলক কম।

Advertisement

জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত লিচু চাষি আব্দুল জলিল কিতাব জাগো নিউজকে বলেন, এবার অনাবৃষ্টির কারণে লিচুর ফলন বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। রং বিবর্ণ হয়ে গেছে। বেশকিছু লিচু নষ্ট হয়ে ফেটে যাচ্ছে। শনিবার ৫০ হাজার লিচু বাগান থেকে সংগ্রহ করেছি। এরমধ্যে ১০ হাজার লিচু ফেটে নষ্ট হয়ে গেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এবছর ঈশ্বরদীতে তিন হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। লিচুর জাতের মধ্যে রয়েছে মোজাফ্ফর (দেশি), বোম্বাই ও চায়না।

এ বিষয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইফুদ্দিন ইয়াহিয়া বলেন, মোজাফ্ফর জাতের লিচু বেশি তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে না। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ থেকে লিচুকে রক্ষা করতে চাষিদের সেচ ও কীটনাশক ব্যবহার বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। যারা নিয়মিত সেচ দিয়েছেন তাদের লিচুর ক্ষতি কিছুটা কম হয়েছে।

শেখ মহসীন/এসআর/এএসএম

Advertisement