ফিচার

ব্যাটারি চালিত রিকশায় চালকের যত সুবিধা-অসুবিধা

ব্যাটারি চালিত রিকশায় চালকের যত সুবিধা-অসুবিধা

ঢাকাকে বলা হয় রিকশার নগরী। আর এই নগরে ব্যাটারি চালিত রিকশা জনসাধারণের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। প্রচলিত প্যাডেল চালিত রিকশার তুলনায়, নতুন এই প্রযুক্তি রিকশাচালকদের কায়িক শ্রম অনেকটাই কমিয়েছে। ফলস্বরূপ, তাদের স্বাস্থ্যগত অবস্থা এবং কর্মক্ষমতায় উন্নতি দৃশ্যমান।

Advertisement

একটি ভারী রিকশা প্যাডেল করে চালানোর ফলে চালকদের শরীরে অতিরিক্ত চাপ পড়ে যা বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার জন্ম দেয়। তাই রিকশাচালকরা ব্যাটারি চালিত রিকশার দিকেই বেশি ঝুঁকেন। এতে চালকরা দীর্ঘ সময় ধরে যেমন কাজ করতে পারেন তেমনি ক্লান্ত কম হন ও বাড়তি আয় করেন।

তবে ব্যাটারি চালিত রিকশা চালাতে রিকশাচালকদের নির্দিষ্ট প্রযুক্তিগত জ্ঞানের অভাব, ট্রাফিক আইনসহ নানা জটিলতার কারণে ব্যাটারি চালিত রিকশা বিপত্তির মুখে।

প্রথমত, তাদের ব্যাটারি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ধারণা কম। এছাড়াও ব্যাটারির ধরন, চার্জিং সময় এবং রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকা জরুরি ছিল।

Advertisement

আরও পড়ুন

একটি কুকুরের বীরত্বে বেঁচে গিয়েছিল পুরো শহরের মানুষ 

দ্বিতীয়ত, রিকশার ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেম সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা থাকা উচিত। রিকশার মোটর, ব্রেক এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিক অংশগুলোর কার্যপ্রণালী সম্পর্কে জ্ঞান না থাকলে সহজে কোনো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়।

তৃতীয়ত, ট্রাফিক আইন, যানজট, অনিয়ন্ত্রিত, নিরাপত্তা বিধি ইত্যাদি। এই সকল বিষয়ে অজ্ঞতা ও নানা অসুবিধার জন্য রাজধানীর বুকে অটোরিকশা আজ বিআরটিএ'র নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন।

তাই বলতে পারি ব্যাটারি চালিত রিকশা রিকশাচালকদের জীবনকে সহজ করেছিল বটে, কিন্তু এর পূর্ণ সুবিধা পেতে এবং নিরাপদে চালাতে হলে নির্দিষ্ট জ্ঞানের পাশাপাশি অনুকূল পরিবেশ থাকাও আবশ্যক।

Advertisement

আরও পড়ুন

যে দেশে বিনামূল্যে পাওয়া যায় ইন্টারনেট, ট্রান্সপোর্ট সুবিধা  নারীদের লাল লিপস্টিক পরা নিষিদ্ধ যেখানে 

কেএসকে/জিকেএস