র্যাব হেফাজতে সুরাইয়া খাতুন (৫২) মৃত্যুর ঘটনায় ময়মনসিংহের নান্দাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাসানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তিনি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন।
Advertisement
শনিবার (১৮ মে) রাতে ময়মনসিংহ পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাঁকে নান্দাইল থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। রোববার (১৯ মে) রাতে নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মজিদ জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন
র্যাব হেফাজতে নারীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত হবেজানা গেছে, নান্দাইলে গৃহবধূ রেখা আক্তার (২০) মৃত্যু মামলার আসামি ছিলেন তার শ্বশুর আজিজুল ইসলাম ও শ্বাশুড়ি স্ত্রী সুরাইয়া খাতুন। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন এসআই নাজমুল হাসান। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় দুই আসামিকে নান্দাইল মডেল থানায় ডেকে নেন এসআই নাজমুল। সেখানে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে কিছুক্ষণ পরে তাদের ছেড়ে দেন। থানার সামনে আসতেই র্যাবের একটি দল আজিজুল ইসলামকে ছেড়ে দিয়ে সুরাইয়াকে আটক করে ভৈরব ক্যাম্পে নিয়ে যায়। এরপর শুক্রবার (১৭ মে) সকালে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সুরাইয়া খাতুনকে মৃত ঘোষণা করেন।
Advertisement
আরও পড়ুন
ভৈরব ক্যাম্প কমান্ডারকে প্রত্যাহারএ ঘটনায় সুরাইয়া খাতুনের স্বামী আজিজুল ইসলাম র্যাবের হেফাজতে স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। পরে মরদেহের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত করে নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। শনিবার (১৮ মে) দুপুরে সুরাইয়া খাতুনের জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয় উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের বরুনাকান্দা গ্রামে।
এ বিষয়ে ওসি আব্দুল মজিদ জানান, উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসআই নাজমুল হাসানকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করেছেন।
ময়মনসিংহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. শামীম হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, বিভিন্ন কারণে তাকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মনে করেন, কাজের প্রতি তার আরও দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন। তাই তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
Advertisement
মঞ্জুরুল ইসলাম/এনআইবি/জিকেএস