ক্যাম্পাস

প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে বুয়েট শিক্ষক সমিতির মৌন মিছিল

সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনকে বৈষম্যমূলক দাবি করে সেটি বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষক সমিতি। এ দাবিতে মৌন মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষকরা।

Advertisement

রোববার (১৯ মে) দুপুর সোয়া ১২টায় বুয়েটের ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী পুরকৌশল ভবনের সামনে থেকে শিক্ষকদের মৌন মিছিল শুরু হয়ে প্রশাসনিক ভবন, ক্যাফেটেরিয়া হয়ে বুয়েটের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। এরপর মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় শিক্ষকরা বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপনের বাস্তবতা তুলে ধরে অবিলম্বে সেটি বাতিলের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।

আরও পড়ুন‘বৈষম্যমূলক’ প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধনবৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি ঢাবিতে

মানববন্ধনে বুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, এটি কখনোই সর্বজনীন পেনশন স্কিম হতে পারে না। যদি সবাইকে একই পেনশন স্কিমের আওতায় আনা হয়, সেক্ষেত্রে আমাদের কোনো অভিযোগ থাকবে না। কিন্তু প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে এবং অন্যদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হবে, সেটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বুয়েট শিক্ষক সমিতি এ প্রজ্ঞাপনকে প্রত্যাখান করছে।

Advertisement

তিনি বলেন, আমার মনে করি এমন কর্মকাণ্ডে শিক্ষক সমাজের সম্মান ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। অবিলম্বে যে বৈষম্যমূলক পেনশন স্কিমের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, অবিলম্বে তারপর তা প্রত্যাখানের জোর দাবি জানাচ্ছি। যদি প্রত্যাহার করা না হয় তাহলে সমগ্র শিক্ষক সমাজ এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করার জন্য বাধ্য করা হবে। আমরা আশা করবো, সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং অবিলম্বে যে বৈষম্যমূলক পেনশন স্কিমের প্রজ্ঞাপন সরকার জারি করেছে, সেটি প্রত্যাহার করবে।

এদিকে একই দাবিতে দুপুর ১২টায় বুয়েট শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করেছেন বুয়েটের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এসময় তারা বলেন, বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের এ আইনের আওতামুক্ত রাখতে হবে। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) যে অভিন্ন আপগ্রেডেশন নীতিমালা প্রণয়ন করেছে, সে নীতিমালা বাতিল করতে হবে। আগামী বাজেটে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নবম পে-স্কেলে বেতন দিতে হবে। অন্যথায় আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশন (বাআবিকফ)-এর নেতৃত্বে আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করবো।

এমএইচএ/এমএইচআর/জেআইএম

Advertisement