নারী জুজুৎসু ক্রীড়াবিদকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় বাংলাদেশ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়শনের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম নিউটন ও তার সহযোগী এক নারীর একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
Advertisement
রোববার (১৯ মে) তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠুতদন্তের জন্য তাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম তাদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১৪ মে রফিকুল ইসলাম নিউটনের বিরুদ্ধে জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের একজন নারী খেলোয়াড় নারী-শিশু নির্যাতন দমন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার (১৮ মে) দুপুরে র্যাব সদরদপ্তরের গোয়েন্দা শাখা এবং র্যাব-১২ এর একটি অভিযানিক দল রাজধানীর শাহ আলী ও মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি মো. রফিকুল ইসলাম নিউটন ও তার সহযোগী ওই নারীকে গ্রেফতার করে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতার নিউটন অ্যাসোসিয়েশনের গ্রেফতার অপর এক নারী খেলোয়াড়ের সহায়তায় অন্য নারী খেলোয়াড়দের মিথ্যা প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে যৌন হয়রানিসহ জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করতেন।
Advertisement
আরও পড়ুন
জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক নিউটন গ্রেফতার বিদেশ ভ্রমণের প্রলোভনে খেলোয়াড়দের ধর্ষণ করতো নিউটনভুক্তভোগী নারী গত দুই বছর ধরে রফিকুল ইসলাম নিউটনের অধীনে জুজুৎসু খেলার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আসছিলেন। খেলার প্রশিক্ষণ চলাকালীন নিউটন বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগী নারীকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করতেন। পরে ভুক্তভোগী প্র্যাকটিস শেষে চেঞ্জিং রুমে পোশাক পরিবর্তন করার সময় গ্রেফতার নারী ভুক্তভোগীকে রুমের মধ্যে আটকে রেখে রফিকুল ইসলামকে ডেকে আনেন। রফিকুল ইসলাম নিউটন সেখানে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করেন।
এরপর গ্রেফতার নারী খেলোয়াড় রুমে প্রবেশ করে মোবাইলে ভুক্তভোগীর নগ্ন ছবি ধারণ করেন এবং কাউকে জানালে এসব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। কিছুদিন পর রফিকুল ইসলাম ভুক্তভোগীর নগ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে রাজধানীর একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে ভুক্তভোগীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
জেএ/জেএইচ/জিকেএস
Advertisement