চুরি যাওয়া রিজার্ভ ফেরত পেতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে আরো দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতে পারে। ফিলিপাইনের অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিলের (এএমএলসি) জিম্মায় ক্যাসিনো জাঙ্কেট অপারেটর কিম অং-এর ফেরত দেওয়া অর্থ সংরক্ষণের জন্য দেশটির একটি আদালত কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে।বৃহস্পতিবার দেশটির জাতীয় দৈনিক দ্য ইনকোয়ারার এক প্রতিবেদনে বলছে, ম্যানিলার আঞ্চলিক ট্রায়াল কোর্টের নির্বাহী জজ রেনালদো এ আলহামব্রা ওই অর্থ সংরক্ষণের বিষয়ে সারসংক্ষেপ শুনানির জন্য আগামী ২ মে দিন নির্ধারণ করেছেন। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে ওই অর্থ ফেরত দিতে বেশ কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আট কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব ব্যাংক অ্যাকাউন্টের লেনদেনও ২০ দিনের জন্য স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এতে বলা হয়েছে, ওই অর্থের যে কোনো ধরনের লেনদেন, উত্তোলন, স্থানান্তর, রূপান্তর আগামী ২০ দিন বন্ধ রাখতে হবে। এর আগে, গত ১৮ এপ্রিল ক্যাম সিন অং (কিম অং), ইস্ট হাওয়াই লেইজার করপোরেশন, সেঞ্চুরিটেক্স ট্রেডিং, রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশন ও ফিলিপাইন ন্যাশনাল ব্যাংকের বিরুদ্ধে অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল আদালতে সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে একটি আবেদন করে। এ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান অবৈধ হ্যাকিং ও অন্যান্য অনৈতিক লেনদেনে জড়িত বলে দেশটির অ্যান্টি মানি লন্ডারিং আইনে তাদের বিরুদ্ধে ওই ব্যবস্থার আবেদন জানায় এএমএলসি।দেশটির আদালত বলছে, দুই দফায় এএমএলসির কাছে কিম অংয়ের ফেরত দেওয়া অর্থের ক্ষেত্রেও এই আদেশ বলবৎ থাকবে। গত ৩১ মার্চ জাঙ্কেট অপারেটর কিম অং ৪০ লাখ মার্কিন ডলার ও ৪ এপ্রিল ৩৮ মিলিয়ন ফিলিপিনো পেসো এএমএলসির কাছে ফেরত দেন। সোমবার তার কোম্পানি ইস্টার্ন হাওয়াই আরো ২ শ’ মিলিয়ন ফিলিপিনো পেসো এএমএলসির কাছে ফেরত দিয়েছে। অং আরো আড়াই শ’ মিলিয়ন পেসো ফেরত দেবেন বলে জানিয়েছেন।বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া ৮১ মিলিয়ন ডলারের কিছু অর্থ ফিলিপাইনের অারসিবিসি ব্যাংকে কিম অংয়ের অ্যাকাউন্টে যায়। তবে কিম অংগাও শুহুয়া ও ডিং ঝিজে নামে আরো দুইজন এই লেনদেনের সঙ্গে জড়িত বলে নাম জানিয়েছেন।এসআইএস/পিআর
Advertisement