কিরগিজস্তানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের হোস্টেলে হামলার ঘটনায় দেশটিতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
Advertisement
শনিবার (১৮ মে) রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ পরামর্শ দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের দূতাবাস কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে একযোগে কাজ করে। সেখান থেকে বিশকেকের সহিংসতার ঘটনায় বর্তমানে কিরগিস্তানে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও দূতাবাস যোগাযোগ করছে। কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের প্রাসঙ্গিক কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, পরিস্থিতি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দিয়ে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের এই মুহূর্তের জন্য বাড়ির ভেতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এবং এ বিষয়ে যেকোনো সমস্যায় ২৪ ঘণ্টা উজবেকিস্তানে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার মো. নাজমুল আলমের সঙ্গে (+998930009780) যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলো।
Advertisement
জানা গেছে, গত ১৩ মে একদল মিশরীয় শিক্ষার্থীর সঙ্গে কিরগিজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তবে কী নিয়ে তাদের মধ্যে এই বিরোধ বেঁধেছিল তা নিশ্চিত নয়। তবে ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার রাতে কিরগিজ রাজধানীতে বেশকিছু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল ও বেসরকারি আবাসনে হামলা চালায় স্থানীয়রা। এসব হোস্টেল ও ভবনে মূলত বিদেশি শিক্ষার্থীরা বসবাস করেন।
আরও পড়ুনকিরগিজস্তানে দক্ষিণ এশীয় শিক্ষার্থীদের ঘরে থাকার পরামর্শএ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জাগো নিউজকে বলেন, কিরগিজস্তান থেকে আমাকে বহু শিক্ষার্থী ছেলে-মেয়ে ফোন করছেন, টেক্সট মেসেজ, ভিডিও মেসেজ পাঠাচ্ছেন। তাদের সেখানে স্থানীয় নাগরিকরা বিদেশি ছেলে-মেয়েদের মারধর করছে।
তিনি বলেন, ঘটনা ঘটেছে গত তিনদিন আগে। মিশরের লোকেরা স্থানীয় লোকদের সঙ্গে মারামারি করে। তাতে স্থানীয়রা অনেক ক্ষেপে যায়। এখন মিশরের নাগরিকদের পরিবর্তে বাংলাদেশ, ভারতসহ বিদেশি যেসব শিক্ষার্থীকে পাচ্ছে, তাদের মারধর করছে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা ভয়ে লুকিয়ে আছে। আমি তাদের বলেছি আপনারা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী নিরাপদে থাকুন। আমি আমার সরকারকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র দপ্তরের সংশ্লিষ্টদের মোটামুটি সবাইকে ঘটনাটি জানিয়েছি। তাদের বলেছি জরুরি সহায়তা দরকার।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন আরও বলেন, ওখানে আমাদের মিশন নেই, আমাদের একজন অ্যাম্বাসেডর অ্যাক্রিডিটেড আছেন। তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। আমি বলেছি আমাদের ছেলে-মেয়েরা যেন নিরাপদে থাকে।
Advertisement
আইএইচআর/ইএ/জেআইএম