কুরআনুল কারিম বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুয়তের প্রকাশ্য দলিল। ইয়াহুদিদের বিশেষ জ্ঞান-ভাণ্ডার, তাওরাত-ইঞ্জিলের গোপনীয় কথা ও তাদের পরিবর্তনকৃত বিধি-বিধানের সবই আল্লাহ তাআলা কুরআনে উল্লেখ করেছেন। এ কিতাবকে বিশ্ববাসীর জন্য সুষ্পষ্ট বর্ণনা তা উল্লেখ করে আল্লাহ বলেন বলেন-এবং নিশ্চয় আমি আপনার নিকট (হে রাসুল!) সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ নাজিল করেছি এবং দুষ্কৃতকারী লোক ব্যতিত কেউই তা অমান্য করে না। এবং যখনই তারা কোনো অঙ্গীকার করে তখনই তাদের একদল তা ভঙ্গ করে এবং তাদের মধ্যে অনেকেই (এ কিতাবে) বিশ্বাস স্থাপন করে না। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ৯৯-১০০)আল্লাহ তাআলা প্রথম আয়াতে বলেন, হে রাসুল! নিশ্চয় আমি আপনার নিকট স্পষ্ট পরিষ্কার নির্দশনসমূহ অবতীর্ণ করেছি। কারণ ইবনে সুরিয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলেছিল, ‘আপনি কোনো কিছু নিয়ে আমাদের কাছে প্রেরিত হননি।’ এ আয়াতটি তার কথার প্রতিবাদ। আর সত্য পরিত্যাগকারীগণ ব্যতিত কেউ আল্লাহর বাণী পরিত্যগ করে না।অতপর আল্লাহ দ্বিতীয় আয়াতে বলেন, তবে কি যখনই তারা (অবিশ্বাসীরা) আল্লাহর সঙ্গে কোনো অঙ্গীকার করেছে অর্থাৎ তাদের অঙ্গীকার ছিল যখন সত্য নবি এবং কিতাব আবির্ভাব হবে তখন তারা এ নবির উপর ঈমান আনয়ন করবে বা মুশরিকদের কোনোরূপ সাহায্য করবে না বলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে তারা যে অঙ্গীকার করেছিল, তা তখন তাদের কোনো একদল প্রত্যাখ্যান করে অঙ্গীকার ভঙ্গ করেছে। বরং তাদের অধিকাংশই সত্যগ্রন্থ কুরআন এবং নবির প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে না।কারণ কুরআনে ইয়াহুদিদের ইতিহাস ও ঘটনাবলী পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, তারা গাদ্দারি, বিশ্বাসঘাতকতা, অবাধ্যতা ও বিদ্রোহের এক চলমান জঘন্য ইতিহাস। তারা শুধু বিশ্বনবীর সঙ্গেই অঙ্গীকার ভঙ্গ করেনি বরং অনেক পূর্বেই আল্লাহ তাআলা তাদের নিকট থেকে তাওরাত ও ইঞ্জিলে বিশ্বনবির প্রতি আনুগত্যের অঙ্গীকার নিয়েছিলেন, উপরন্তু তারা আল্লাহর সঙ্গে কৃত অঙ্গীকারও ভঙ্গ করতে দ্বিধা করেনি।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআনের অঙ্গীকার পালন করার তাওফিক দান করুন। ইয়াহুদি, খ্রিস্টানসহ সকল ইসলাম বিদ্বেষীদের নিকট থেকে ঈমান ও আমলকে হিফাজত করতে কুরআন ও হাদিসের যথাযথ বাস্তবায়ন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/পিআর
Advertisement