তরুণ জনপ্রিয় কোরিওগ্রাফার, স্টাইলিস্ট, কাস্টিং ডিরেক্টর মেসফির আয়াজ এরই মধ্যে তার প্রতিভার জানান দিয়েছেন। আয়াজের মিডিয়াতে পথচলা শুরু হয় বিউটি পেজেন্ট মিস্টার ফ্রেশ লুকের মাধ্যমে। পরবর্তীতে একটি প্রোডাকশন হাউসের কাস্টিং ডিরেক্টর হিসেবে তিনি পথচলা শুরু করেন।
Advertisement
এতে গুরু হিসেবে পেয়েছেন ডিরেক্টর সামিউর রহমান সামিকে। তার কস্টিউম ডিজাইন করা ‘বে সুজ’র ওভিসিটি দারুণ সাড়া ফেলেছে। সামনেই কলকাতায় একটি ফ্যাশন শো কোরিওগ্রাফি করতে যাচ্ছেন তিনি।
আরও পড়ুন
সেন্সর পেয়েছে ‘মুনাফিক’ আমেরিকায় মুক্তি পাচ্ছে ‘দেয়ালের দেশ’আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ফ্যাশন পৌঁছে দিতে চান আয়াজ। তিনি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তার দুই মেন্টোর আজরা মাহমুদ এবং সামিউর রাহমান সামিকে। তাদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত শিখেছেন। বিজ্ঞাপনী সংস্থায় শীর্ষ কাস্টিং পরিচালকদের মধ্যে একজন তিনি।
Advertisement
নতুন নতুন শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করতে আয়াজ ভীষণ পছন্দ করেন। তবে প্রত্যেক মাধ্যমেই কাজ করে তিনি আনন্দ পান। তার মতে প্রতিভা এবং যোগ্যতা থাকলে কেউ কাউকে আটকে রাখতে পারে না। এর মধ্যেই নতুন একটি সিনেমার জন্য করছেন কস্টিউম ডিজাইন।
সামনে আছে আরও চমৎকার নতুন কিছু প্রজেক্ট। আয়াজ সবাইকে সঙ্গী করে আরও সামনে থেকে এগিয়ে যেতে চান। আয়াজ নিজেই যেন তার নিজের প্রতিযোগী। ভবিষ্যতে তিনি বিশ্বে বাংলাদেশের সংস্কৃতি এবং ফ্যাশন পৌঁছে দিতে চান।
বর্তমানে কাস্টিং ডিরেক্টর পেশায় অনেক সুযোগ রয়েছে কাজ করবার। একজন কাস্টিং ডিরেক্টরকে পুরো শুটটা মাথায় রাখতে হয়। পাশাপাশি সংযোগ স্থাপন করতে হয় পরিচালক ও শিল্পীদের সঙ্গে। কিন্তু কাস্টিং ডিরেক্টরদের তাদের প্রাপ্য সম্মানটুকু দেওয়া হয় না। ঠিক একইভাবে ফ্যাশন ও স্টাইলিং পেশাটিও বাংলাদেশে দারুণভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করছে।
অভিজ্ঞদের পাশাপাশি তরুণদেরও এ সেক্টরে রয়েছে সফলতা পাবার সুবর্ণ সুযোগ, তবে এরজন্য প্রয়োজন সুন্দর কাজের পরিবেশ। কিন্তু আমরা বরাবরই দেখতে পাই, অভিজ্ঞদের কাছ থেকে তরুণরা সেভাবে কোনো সহায়তা পায় না, উল্টো মাঝেমধ্যে হুমকির সম্মুখীন হতে হয় তরুণদের।
Advertisement
এমআই/এমএমএফ/জিকেএস