যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যিক যুদ্ধ ক্রমেই তীব্র হয়ে উঠছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র চীন থেকে পণ্য আমদানিতে শুল্ক বাড়িয়েছে। যদিও এর পাল্টা ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বেইজিং। মূলত চীনের সঙ্গে বাণিজ্য কমাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এমন পরিস্থিতিতে ভিয়েতনাম থেকে দেশটির আমদানি বেড়েছে। যদিও ভিয়েতনামের রপ্তানি অনেকটাই চীন থেকে আমদানির ওপর নির্ভরশীল।
Advertisement
চীন-ভিয়েতনাম ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যিক অসামঞ্জস্যতা রয়েছে। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটির গত বছর ওয়াশিংটনের সঙ্গে বাণিজ্য উদ্ধৃত্ত থাকে প্রায় ১০৫ বিলিয়ন ডলার, যা ২০১৮ সালের তুলনায় আড়াই গুণ বেশি। সে সময় ট্রাম্প প্রথমবার চীনের পণ্যের ওপর শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ান।
আরও পড়ুন>
চীনা পণ্য আমদানিতে শুল্ক বাড়ালেন বাইডেন, পাল্টা ব্যবস্থার হুমকি ভারতের ওপর নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রেরভিয়েতনাম বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য উদ্ধৃত্তের দিক দিয়ে চতুর্থ বৃহত্তম দেশ। দেশটির অবস্থান চীন, মেক্সিকো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরেই।
Advertisement
২০২৩ সালে ভিয়েতনাম থেকে ১১৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি পণ্য আমদানি করে যুক্তরাষ্ট্র, যা ২০১৮ সালের তুলনায় দুই গুণের বেশি। মূলত সে সময় যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়। ফলে অনেকেই ঝুঁকি এড়াতে ভিয়েতনাম থেকে পণ্য আমদানি শুরু করে।
কয়েক দিন আগে হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চীন থেকে ১৮ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ আমদানি পণ্যে শুল্ক বাড়ানো হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম, সেমিকন্ডাক্টর, ব্যাটারি, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ, সোলার সেল এবং ক্রেন।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপের পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে চীন। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে চীন।
সূত্র: রয়টার্স
Advertisement
এমএসএম