জাতীয়

কোরবানির জন্য ১ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭ পশু প্রস্তুত

আসন্ন ঈদুল আজহা ঘিরে সারাদেশে কোরবানিযোগ্য এক কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি পশু প্রস্তুত আছে। যা গত বছরের তুলনায় চার লাখ ৪৪ হাজার ৩৪টি বেশি। এছাড়া এবার ঈদ ঘিরে সারাদেশে তিন হাজার গবাদি পশুর হাট বসবে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ তথ্য জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান। ঈদুল আজহা সামনে রেখে কোরবানির পশুর চাহিদা ও সরবরাহ নিশ্চিতকরণ এবং প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে অবাধে যেন ঢাকায় কোরবানির পশু আসতে পারে তা নিশ্চিতকল্পে এ সভা হয়।

সভায় প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী জানান, এ বছর বিভাগীয় পর্যায়ের তথ্যানুযায়ী কোরবানিযোগ্য গবাদি পশুর সর্বোচ্চ সম্ভাব্য চাহিদা এক কোটি ৭ লাখ ২ হাজার ৩৯৪টি। চাহিদার চেয়ে ২২ লাখ ৭৭ হাজার ৯৭৩টি অতিরিক্ত গবাদি পশু প্ৰস্তুত রয়েছে। যেখানে গরু ৫২ লাখ ৬৮৪টি, মহিষ ১ লাখ ৬০ হাজার ৩২০টি, ছাগল ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ৫৮টি, ভেড়া ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৭৪৩টি এবং অন্য প্রজাতিসমূহের এক হাজার ৮৫০টি পশুর প্রাপ্যতা রয়েছে।

আরও পড়ুনগরমে ওজন কমছে পশুর, দুশ্চিন্তায় খামারি

তিনি বলেন, দেশে কোরবানির পশু প্রয়োজনের তুলনায় বেশি থাকায় আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই। গত বছরের ধারাবাহিকতায় এ বছরও কোনো খামারি নিজ বাড়ি থেকে পশু বিক্রি করলে তাকে হাসিল দিতে হবে না। কোনো খামারি তার পশু দূরবর্তী হাটে নিতে চাইলে রাস্তাঘাটে জোর করে নামাতে বাধ্য করা যাবে না।

Advertisement

এক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্থানীয় সরকারের ইউনিট তথা পৌরসভা, উপজেলা বা ইউনিয়ন পরিষদ এবং সিটি করপোরেশন সর্বাত্মক সহায়তা করবে বলেও জানান তিনি।

আব্দুর রহমান আরও বলেন, হাটে আনার পথে কেউ প্রাণী বিক্রি করলে তার কাছ থেকে ইজারা গ্রাহক জোর করে চাঁদা বা হাসিল নিতে পারবেন না। কোরবানির পশু কেনা-বেচার ক্ষেত্রে নগদ টাকা বহন না করে যথাসম্ভব বিকল্প উপায়ে স্মার্ট পদ্ধতিতে আর্থিক লেনদেন করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। গত বছরের মতো এ বছরও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সারাদেশে কোরবানির পশু বিক্রির ব্যবস্থা চালু থাকবে।

আরও পড়ুনদেশের সব পশুর হাটে হাসিল বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে রিট

ব্যবসায়ীদের দাবি অনুযায়ী চোরাই পথে গরু যেন না আসে তা নিশ্চিত করার অনুরোধ করলে মন্ত্রী বলেন, চোরাই পথে গরু আসার কোনো সুযোগ নাই। চাহিদার তুলনায় আমাদের পশু বেশি রয়েছে।

তিনি বলেন, কোরবানির চামড়া যেন অবৈধ পথে পাচার হতে না পারে সেজন্য সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

Advertisement

মন্ত্রী আরও বলেন, কেউ যেন পশু আনা-নেওয়ায় হয়রানির শিকার না হন সেজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি হাটে পুলিশের টিম থাকবে। তাদের মাধ্যমে যে কেউ সহযোগিতা নিতে পারবেন।

খামারি, সিটি করপোরেশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বসে একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থা যেন তৈরি করা যায় সে লক্ষ্যে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এসএম/এমকেআর/জেআইএম