ক্যাম্পাস

দ্বিতীয় দিনের মতো বাকৃবি শিক্ষকদের কর্মবিরতি

সরকারের সর্বজনীন পেনশন প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে তৃতীয় দিনের আন্দোলন এবং দ্বিতীয় দিনের মতো অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শিক্ষকরা। প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে তিনদিন ধরে কঠোর আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি সংলগ্ন আমতলায় মৌন মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা।

আরও পড়ুন>>> শাবিপ্রবি/সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে শিক্ষকদের মানববন্ধন

বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ফিশারিজ, বায়োলজি ও জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদারের সভাপতিত্বে এবং কৃষি ও ফলিত পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শেখ মোহাম্মদ সায়েমের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি ও বাকৃবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমান, আওয়ামীপন্থি শিক্ষক সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের একাংশের সভাপতি অধ্যাপক ড. সুভাষ চন্দ্র দাস, ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. পূর্বা ইসলাম, বাকৃবির সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারি, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দু’শতাধিক শিক্ষক।

সভাপতি ড. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, দেশ ও জাতি গঠনের পিছনে যাদের অবদান তাদের এভাবে বঞ্চিত করা উচিত নয়। যেখানে দেশ ও জাতি গঠনে কাজ করে যাচ্ছে শিক্ষকরা সেখানে তাদের সুবিধা বঞ্চিত করলে আগামীর মেধাবী শিক্ষার্থীরা এই পেশায় আর আসবেন না।

Advertisement

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিকসময়ে অর্থ মন্ত্রণালয় প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, জুলাইয়ের পর স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থার চাকরিতে যারা যোগদান করবেন, তাদের বাধ্যতামূলক সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার প্রত্যয় স্কিমে যুক্ত করা হবে। হঠাৎ এমন প্রজ্ঞাপন জারির ফলে সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে চরম হতাশা, ক্ষোভ ও অসন্তুষ্টির সৃষ্টি হয়। প্রজ্ঞাপনটিতে সরকারি কর্মকর্তা- কর্মচারীদের ও অর্ন্তভূক্ত করা হয়নি।

এমএআইকিউ/এসআইটি/জেআইএম