চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে ঝিনাইদহের মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের শ্রমিক-কর্মচারীরা বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকাল ৮টায় মিলের প্রধান ফটকে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা দেন।
জানা যায়, চলতি বছরের ৬ এপ্রিল মৌসুমি জনবল দ্বারা স্থায়ী শুন্যপদে স্থায়ীকরণের ৫১ পদের বিপরীতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন সংস্থাপন বিভাগ। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর প্রায় শতাধিক প্রার্থী ওই পদের বিপরীতে আবেদন করে। এরপর নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে করপোরেশনের হেড অফিস থেকে একটি প্রতিনিধি দল বুধবার মিলে পৌছে পরীক্ষা নেন। বৃহস্পতিবারও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (১৫ মে) বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের সচিক চৌধুরী রুহুল আমি কায়সার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে স্থায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিতের আদেশ দেন। এ সংবাদ মিল এলাকায় পৌছালে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। শ্রমিকরা জরুরি গেট মিটিংয়ের ডাক দিয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন।
Advertisement
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, মোবারকগঞ্জ সুগার মিল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি গোলাম রসুল, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, সহ-সম্পাদক সাইদুর রহমান পিকুসহ কর্মচারী।
সমাবেশে অংশ নেওয়া শ্রমিকরা জানান, মোবারকগঞ্জ সুগার গিলে প্রায় ১২ বছর ধরে শ্রমিক-কর্মচারীরা চুক্তিভিক্তিক ও মৌসুমী হিসেবে কাজ করে আসছেন। অভিজ্ঞ এসব শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের জন্য বুধবার নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন বিকেলে অদৃশ্য কারণে সেই নিয়োগ স্থগিতের আদেশ দেয় শিল্প মন্ত্রণালয়। এতে অর্ধশত শ্রমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
সমাবেশে ঈদুল আযহার আগে এ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার না করা হলে কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি দেন শ্রমিক নেতারা।
মোবারকগঞ্জ সুগার মিল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি গোলাম রসুল জানান, দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর এ মিলে প্রায় শতাধিক কর্মচারী চুক্তিভিত্তিক কাজ করে যাচ্ছেন। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে বুধবার শ্রমিকদের নিয়োগ, পদন্নতি ও স্থায়ীকরণের জন্য পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু অজানা কারণে হেড অফিস থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করেছে। এর ফলে মিল এলাকায় শ্রমিকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এখনি নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা না হলে আসছে মাড়াই মৌসুমে মিল চালানো অসম্ভব হয়ে পড়বে। যে কারণে শ্রমিকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করলে ঈদুল আযহার পর মিলে সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া ঘোষণাও দেন এ শ্রমিক নেতা।
Advertisement
মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহম্মদ সাইফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, মিলে ৫১ পদের বিপরীতে বুধবার নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ওই দিন বিকেলে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের হেড অফিস অনিবার্য কারণে নিয়োগ ও পদন্নতি এবং স্থায়ীকরণের প্রক্রিয়া স্থগিত করে আদেশ দেন। এর ফলে মিলের কাজে কিছুটা সমস্যা তৈরি হলো।
তিনি আরও জানান, মিলটি সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য শ্রমিকদের নিয়োগ ও পদন্নতি এবং স্থায়ীকরণের প্রয়োজন ছিল। আশা করছি হেড অফিস বিষয়টি অনুধাবন করবেন এবং দ্রুতই এর সমাধান করবেন।
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এনআইবি/জেআইএম