আদর করে নাম রেখেছেন ‘কালাবাবু’। ওজন প্রায় ২০ মণ। আসন্ন কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ষাঁড়টি। এর দাম হাঁকা হচ্ছে ছয় লাখ টাকা। ষাঁড়টির মালিক পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার পশ্চিম চর বানিয়ারী গ্রামের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী আনোয়ার শেখ।
Advertisement
প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি পালন করছেন আনোয়ার শেখ। তার খামারে গরুর সংখ্যা আটটি। চারটি ষাঁড়, দুটি গাভি ও দুটি বাছুর। এরমধ্যে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন ‘কালাবাবু’কে।
আনোয়ার শেখ বলেন, “শখ করে গরুটি বড় করেছি। আমি প্রবাসে থাকলেও স্ত্রী-সন্তানরা এর যত্ন নিয়েছেন। দেখতে কালো হওয়ায় শখ করে নাম দিয়েছি ‘কালাবাবু’। ওজন হবে ২০ মণের মতো। ছয় লাখ টাকা দাম পেলে বিক্রি করে দেবো।”
তিনি জানান, নিজের জমির ঘাস বাদে ষাঁড়টির পেছনে দৈনিক হাজার টাকার মতো খরচ হচ্ছে। প্রচণ্ড গরম ও তাপপ্রবাহের কারণে প্রতিদিন ৫-৬ বার গোসল করাতে হয়। ফ্যানের বাতাস দিতে হয়। খৈল, ভুসি, ভুট্টা, ঘাস ও পাকা কলা খাওয়ানো হয়।
Advertisement
‘কালাবাবু’ শুধু নাজিরপুর উপজেলা নয়, পিরোজপুর জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু দাবি করে আনোয়ার শেখের ভাইপো ফরহাদ শেখ বলেন, চাচা এর দাম ছয় লাখ টাকা চাইলেও ক্রেতার সঙ্গে কম-বেশি করে নেওয়া যাবে। গরুটি চাচা অনেক কষ্ট করে লালন-পালন করেছেন।
নাজিরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তরিকুল ইসলাম বলেন, ফ্রিজিয়ান জাতের গরু পালনে অনেকেই আগ্রহী হন না। তবে সৌদি প্রবাসী আনোয়ার শেখ এতে সফল হয়েছেন। গরুটিকে যেন কোনো প্রকার ওষুধ প্রয়োগ করা না হয় তা মনিটরিং করা হচ্ছে। গরুর মালিককে প্রয়োজনীয় সবধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রানা মিয়া বলেন, কোরবানি উপলক্ষে যেসব পশু বাজারজাত করা হবে, সেগুলো সুস্থ-সবল কিংবা রোগাক্রান্ত কি না তা নির্ণয়ের জন্য প্রতিটি পশুর হাটে আমাদের মেডিকেল টিম কাজ করবে। জেলায় প্রতিটি খামারের খামারিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। তাদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যেকোনো বিষয়ে।
এসআর/জিকেএস
Advertisement