বিনামূল্যে আইনগত সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারের (১৬৪৩০) কর্মপরিধি বাড়ছে। একই সঙ্গে ২৪ ঘণ্টাই মিলবে কল সেন্টারের সেবা।
Advertisement
এজন্য জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ‘আইনি পরামর্শ কর্মকর্তা’ পদে ছয়জনকে চু্ক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে যাচ্ছে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা। এ নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হলে জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টার থেকে দিন-রাত সবসময়ে (২৪ ঘণ্টা) বিনামূল্যে আইনগত পরামর্শ সেবা মিলছে।
বুধবার (১৫ মে) এ সম্পর্কিত নথি অনুমোদন দিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। আইন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সেবা নেওয়ার সময় বাড়ানো হলে বাংলাদেশের যে কোনো স্থান থেকে যে কেউ, যে কোনো সময় ১৬৪৩০ নম্বরে কল করে আইনগত পরামর্শ সেবা নিতে পারবেন। এই নম্বরে কল করার জন্য কোনো চার্জ বা মাসুল বা ফি কাটা যাবে না।
Advertisement
জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালককে দ্রুত এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে আরও সফল ও বেগবান করে তুলতে হলে এটিকে অবশ্যই জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টার তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এখন জাতীয় হেল্পলাইন কল সেন্টারে যাদেরকে নতুনভাবে আইনি পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে, তাদের দায়িত্ব হবে- সারাদেশ থেকে আগত ফোন কল গ্রহণ করা, আইনি সমস্যা সম্পর্কে আইনি তথ্য প্রদান করা, লিগ্যাল কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে আইনি প্রতিকার দেওয়া। এছাড়া আইনি পরামর্শ প্রদান, আদালতে মামলা দায়ের সংক্রান্তে প্রাথমিক তথ্য প্রদান করে সহায়তা করা, সরকারি আইনি সেবা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের কোনো অভিযোগ থাকলে তা গ্রহণ করে সুপারভাইজারের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষকে অবগত করা তাদের কাজ হবে। পাশাপাশি গৃহীত ফোন কলের কলারের নাম, ঠিকানা, আইনগত সমস্যা ও সেবা সম্পর্কে ডাটা এন্ট্রি করা।
এছাড়া অসহায় ব্যক্তি কোথায় গেলে বা কীভাবে আইনি সহায়তা পাবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান কবে। একই সঙ্গে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার দেওয়া অন্য যে কোনো দায়িত্ব নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা পালন করবেন বলে আইন মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
আইনি পরামর্শ কর্মকর্তাদের নিয়োগের শিক্ষাগত যোগ্যতা কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএ-তে এলএলবি (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি এবং আইনজীবী হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থীরা এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।
Advertisement
আরএমএম/কেএসআর/জিকেএস