টানা তিন ম্যাচে হার। এ যেন অচেনা এক বার্সাকে গত কয়েক ম্যাচ ধরে দেখছিল পুরো বিশ্ব। একসময় লিগ জেতাটা যেখানে কেবল সময়ের ব্যবধান হয়ে দাঁড়িয়েছিল সেই বার্সাই নিজেদের খারাপ ফর্মে লিগ লড়াইকে জমিয়ে তুললো। এতোসব চিন্তাকে মাথায় নিয়েই দেপোর্টিভো লা করুনার মাঠে খেলতে নামে লুইস এনরিকের দল। কিন্তু এবার যেন প্রায়শ্চিত্ত করতেই মাঠে নেমেছিল বার্সেলোনা। লা করুনাকে কোনো রকম করুণা না করে ৮-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে মেসি-নেইমার-সুয়ারেজরা। সুয়ারেজ একাই করলেন চার গোল।ম্যাচের শুরু থেকেই নিজেদের পজিশনে বল রেখে আক্রমণ করতে থাকে বার্সা। যার ফলও পায় হাতেনাতে। মাত্র ১১ মিনিটেই গোলের সূচনা করেন লুইস সুয়ারেজ। ২৪ মিনিটে আবারো সুয়ারেজের গোল। এবার গোলটির অ্যাসিস্ট লিওনেল মেসি। প্রথমার্ধ ২-০ গোলে শেষ হলেও দ্বিতীয়ার্ধে যেন আরো ভয়ংকর রূপ ধারণ করে বার্সেলোনা।৪৭ মিনিটে গোল করে দলকে তৃতীয় গোল এনে দেন ইভান রাকিতিচ। এটার রূপকার সুয়ারেজ। ৫৩ মিনিটে আরো এক গোল করে এই মৌসুমে নিজের ষষ্ঠ হ্যাটট্রিক পূরণ করেন সুয়ারেজ। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোরও এই মৌসুমে রয়েছে ৬টি হ্যাটট্রিক। ৬৪ মিনিটে আরো এক গোল করে দলকে ৫-০ গোলের বিশাল লিড এনে দেন সুয়ারেজ। বার্সেলোনার জার্সি গায়ে দ্বিতীয়বারের মতো এক ম্যাচে চার গোল করলেন সুয়ারেজ। বর্তমান মৌসুমে ৪৯ গোল করে নিজের ব্যক্তিগত রেকর্ডকে স্পর্শ করলেন এল পিস্তলেরো। আয়াক্সে থাকাকালীন এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ৪৯ গোল করেছিলেন তিনি।৭৩ মিনিটে সুয়ারেজের ক্রস থেকে ম্যাচের ষষ্ঠ গোলটি করেন লিওনেল মেসি। লা করুনার বিপক্ষে শেষ পাঁচ ম্যাচের সবগুলোতেই গোল করলেন মেসি। মেসির গোলের রেশ কাটতে না কাটতে আবার গোল। এবার মার্ক বারত্রা। জেরার্ড পিকের পরিবর্তে দলে সুযোগ পেয়েই যেন জ্বলে উঠলেন এই ডিফেন্ডার। মাঝমাঠ থেকে একাই বল টেনে নিয়ে যেয়ে গোল দেন তিনি।এমএসএনের ‘এম’ এবং ‘এস’ গোল পেল, বাকি ছিল ‘এন’। সেও শেষ পর্যন্ত গোলের খাতায় নাম লেখালেন। ৮১ মিনিটে সুয়ারেজের পাস থেকে গোল করে দলের ৮ম গোলটি করেন নেইমার। নেইমারের এই গোলে অবদান রেখে একটি রেকর্ডও করে ফেলেছেন সুয়ারেজ।এই শতকে সুয়ারেজ একমাত্র প্লেয়ার যে একটা লিগের ম্যাচে সাতটি গোলেই অবদান রেখেছেন। চার গোল এবং তিন অ্যাসিস্ট করেছেন আজকে। এই জয়ে ৩৪ ম্যাচে ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে রয়েছে বার্সেলোনা।আরআর/বিএ
Advertisement