আন্তর্জাতিক

চীনে পৌঁছেছেন ‘পুরোনো বন্ধু’ পুতিন

দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে পৌঁছেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গত অক্টোবরে বলেছিলেন যে, তিনি এবং পুতিন গত এক দশকে ৪২ বার সাক্ষাৎ করেছেন। এছাড়া দুই বছর আগে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকে দেশ দুটি নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করার বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। খবর আল জাজিরার।

Advertisement

রাশিয়া ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ অঞ্চলে নতুন করে আক্রমণ শুরু করার কয়েকদিন পরেই চীন সফরে গেলেন পুতিন। রাশিয়ার দাবি, সম্মুখ যুদ্ধে তাদের সৈন্যদের এক হাজার কিলোমিটার (৬০০ মাইল) অগ্রগতি হয়েছে। অপরদিকে এই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ বিলম্বিত হওয়ার কারণে ইউক্রেনের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি কিয়েভের।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আকস্মিক হামলা চালায় রাশিয়া। এর কয়েকদিন আগেই পুতিন এবং শি জিনপিং রাশিয়া ও চীনের মধ্যে একটি ‘সীমাহীন অংশীদারিত্বের ঘোষণা করেন। ২০২৩ সালের মার্চে শি জিনপিং মস্কো সফর করেন। সে সময় তিনি দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্কের একটি ‘নতুন যুগ’ বর্ণনা করেছিলেন।

পুতিনের বেইজিংয়ে পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে চীনের রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যম শিনহুয়া নিউজ এজেন্সি। চীনের বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে পুতিনকে ‘পুরোনো বন্ধু’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

Advertisement

চীনে সফরের আগে ৭১ বছর বয়সী পুতিন বলেন, পঞ্চম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর বিদেশ সফরের জন্য তিনি প্রথম দেশ হিসেবে চীনকে বেছে নিয়েছেন। এর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে ‘অভূতপূর্ব উচ্চ স্তরের কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ এবং পুতিন ও ৭১ বছর বয়সী শি জিনপিংয়ের গভীর সম্পর্ককে নির্দেশ করছে।

পুতিন শিনহুয়া নিউজ এজেন্সিকে বলেন, আমরা শিল্প এবং উচ্চ প্রযুক্তি, মহাকাশ এবং শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক শক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস এবং অন্যান্য উদ্ভাবনী খাতে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা স্থাপনের চেষ্টা করব।

আরও পড়ুন: চীন সফরে যাচ্ছেন পুতিন আবারও বন্ধুত্বের নিশ্চয়তা নিয়ে ইউক্রেনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

গণপ্রজাতন্ত্রী চীনকে সোভিয়েত ইউনিয়নের স্বীকৃতি দেওয়ার ৭৫ বছর উপলক্ষে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন এই দুই নেতা। ১৯৪৯ সালে গৃহযুদ্ধে মাও সেতুং কমিউনিস্ট পার্টির বিজয় ঘোষণা করেন।

এদিকে পশ্চিমা বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোর সিরিজ নিষেধাজ্ঞা থেকে বাঁচতে চীনের উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে গেছে রাশিয়া। তবে মস্কোর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে পশ্চিমা সমালোচনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে বেইজিং।

Advertisement

টিটিএন