স্বামী গিয়েছিলেন কাজে। ঘরে আট বছরের ছেলের সঙ্গে ছিলেন মা। কিন্তু ঘরে নিজের ছেলেকেই হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। সন্দেহ করা হচ্ছে, পরকীয়া সম্পর্কের কথা গোপন করতেই নিজের ছেলেকে গলা টিপে হত্যা করেছেন তিনি।
Advertisement
গত সোমবার ভারতের উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি জেলার সিরহৌল গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে। মঙ্গলবার ছেলেকে হত্যার অভিযোগে ওই নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের নাম পুনম দেবী।
আরও পড়ুন>
টোল প্লাজায় নারীকর্মীকে চাপা দিয়ে বেরিয়ে গেলো গাড়ি, ভিডিও ভাইরাল চুরির জন্য প্লেনে ভ্রমণ করতেন তিনিপুলিশ জানিয়েছে, সিরহৌল গ্রামে একটি ভাড়াবাড়িতে থাকেন পুনম ও তার স্বামী অরবিন্দ কুমার। পেশায় দিনমজুর অরবিন্দ। সোমবার সকালে কাজের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশকে অরবিন্দ জানান, বিকেলে তাকে প্রতিবেশীরা খবর দেন যে, তার ছেলে অসুস্থ বোধ করছে। সেই কথা শুনে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে যান অরবিন্দ। বাড়িতে গিয়ে তিনি দেখেন, প্রতিবেশীরা তার বাড়ির সামনে ভিড় করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। বাড়ির মেঝেতে অচেতন অবস্থায় শুয়ে রয়েছে তার ছেলে এবং সন্তানের সামনে বসে কান্নাকাটি করছেন তার স্ত্রী পুনম।
Advertisement
ভাল করে দেখতেই ছেলের গলার কাছে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান অরবিন্দ। সঙ্গে সঙ্গে সন্তানকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর সেখানকার চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অরবিন্দের দাবি, পুনমই তার সন্তানকে গলা টিপে হত্যা করেছেন। থানায় পুনমের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করেন তিনি। অরবিন্দের অভিযোগের ভিত্তিতে পুনমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এখন পর্যন্ত সন্দেহ করা হচ্ছে, পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন পুনম। সেই কথা কোনোভাবে জানতে পেরে যায় তার সন্তান। সত্য গোপন রাখতেই ছেলের গলা টিপে খুন করেন তিনি। তবে এই বিষয়ে আরও প্রমাণ জোগাড় করতে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
সূত্র: এনডিটিভি
এমএসএম
Advertisement