অর্থনীতি

করোনা আক্রান্ত অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে তিনি সচিবালয়ে আসছেন না। তবে ডিজিটাল মাধ্যমে বিভিন্ন প্রোগ্রামে যুক্ত হচ্ছেন।

Advertisement

বুধবার (১৫ মে) অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এবং অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি জুমে এই দুই বৈঠকে যুক্ত হন। এ দুটি মন্ত্রিসভা কমিটির বাকি সদস্যরা সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে উপস্থিত হয়ে বৈঠকে অংশ নেন।

সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে অংশ নেওয়া এক সদস্য জানান, অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে তিনি সরাসরি বৈঠকে উপস্থিত হননি। কারণ তিনি করোনা পজিটিভ। এজন্য জুমে বৈঠকে অংশ নেন।

তিনি আরও জানান, করোনা আক্রান্ত হলেও অর্থমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়নি। তাকে দেখলে সুস্থ-স্বাভাবিকই লাগছে। মনে হয়েছে তিনি ভালোই আছেন। কিন্তু করোনা পজিটিভ হওয়ার কারণে তিনি সচিবালয়ে আসছেন না।

Advertisement

সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকরা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খানের কাছে জানতে চান আজ বৈঠকে সভাপতিত্ব কে করেন? উত্তরে সচিব বলেন, অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বৈঠক হয়।

এসময় সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন তিনি কি সরাসরি বৈঠকে উপস্থিতি ছিলেন নাকি জুমে যুক্ত হন। উত্তরে সচিব বলেন, অর্থমন্ত্রী জুমে যুক্ত হয়েছিলেন। ওনার করোনা পজিটিভ, এ কারণে বৈঠকে সরাসরি উপস্থিত হননি।

বাংলাদেশের ১৮তম অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দিনাজপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবুল হাসান মাহমুদ আলী। চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি বঙ্গভবনে তিনি শপথ নেন।

আবুল হাসান মাহমুদ আলী দশম জাতীয় সংসদের সদস্য এবং ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। এর আগে তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষ দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে দিনাজপুর-৪ আসনে বিজয়ী হন আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

Advertisement

আবুল হাসান ২০০১ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০২ সালে তিনি কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা কমিটির সদস্য হন। এরপর তিনি আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির কো-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

আবুল হাসান মাহমুদ আলী নবম জাতীয় সংসদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন। এরপর ২০১২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান এবং ২০১৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন।

এমএএস/জেডএইচ/জেআইএম