খেলাধুলা

‘ফাইনাল’ জিততে পাকিস্তানের দরকার ১৭৯

সিরিজে ১-১ সমতা। ডাবলিনে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি তাই পরিণত হয়েছে অঘোষিত ফাইনালে। যে দল জিতবে, তাদের হাতেই উঠবে সিরিজের ট্রফি।

Advertisement

অঘোষিত এই ফাইনালে অধিনায়ক লরকান টাকারের হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ৭ উইকেটে ১৭৮ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে আয়ারল্যান্ড। অর্থাৎ জিততে হলে পাকিস্তানকে করতে হবে ১৭৯।

ডাবলিনে এই ম্যাচে টসভাগ্য ছিল পাকিস্তানের। টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। শুরুতেই আইরিশ শিবিরে বড় ধাক্কা দেন পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। ৮ বলে ৭ করা রস অ্যাডায়ারকে বোল্ড করেন তিনি।

তবে দলীয় ১৫ রানে প্রথম উইকেট হারানো আয়ারল্যান্ড দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় অ্যান্ডি বালবির্নি আর অধিনায়ক লরকান টাকারের ব্যাটে। দ্বিতীয় উইকেটে ৪৯ বলে ৮৫ রানের জুটি গড়েন তারা।

Advertisement

বালবির্নিকে (২৬ বলে ৩৫) ফিরিয়ে এই জুটিটি ভাঙেন আব্বাস আফ্রিদি। তবে লরকান টাকার চালিয়ে খেলতে থাকেন। ইমাদ ওয়াসিমের শিকার হওয়ার আগে ৪১ বলে ১৩ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৭৩ রানের ইনিংস উপহার দেন আইরিশ দলপতি।

২ উইকেটে ১৩২ রান ছিল আয়ারল্যান্ডের। সেখান থেকে ১৫৩ তুলতে তারা হারায় ৬ উইকেট। অর্থাৎ ২১ রানের মধ্যে ৪টি উইকেট তুলে নেন শাহিন-আব্বাসরা। ফলে আইরিশদের পুঁজিটা প্রত্যাশামতো বড় হয়নি।

হ্যারি টেক্টর একটা প্রান্ত ধরে শেষ পর্যন্ত খেলে গেছেন। ২০ বলে ২ চার আর ১ ছক্কায় ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। নয় নম্বরে নেমে ৬ বলে অপরাজিত ১০ করেন গ্রাহাম হুমে।

পাকিস্তানের শাহিন শাহ আফ্রিদি ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। আব্বাস আফ্রিদি ২ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে খরচ করেন ৪৩ রান। এছাড়া একটি করে উইকেট শিকার মোহাম্মদ আামির আর ইমাদ ওয়াসিমের।

Advertisement

এমএমআর/