বাংলাদেশে খাবারে ভেজাল মিশানোর কারণে নানা স্বাস্থ্য জটিলতা তৈরি হয়। অনেক ক্ষেত্রে তা খর্বকার শিশু জন্মদান ও জ্ঞানের বিকাশেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পরামর্শ মেনে স্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতের জন্য কাজ করছে ফারগো প্রাইভেট লিমিটেড। এ লক্ষ্যে নেদারল্যান্ডস এবং বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানটি কাজ শুরু করেছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৪ মে) রাজধানীর গুলশানের নিকেতনে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এতে নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ এক ভিডিও বার্তায় ফারগোর উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন ফারগো প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হামিদুল এইচ খান এবং নেদারল্যান্ডসের কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এলে ইয়ান সাফ।
তারা বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর খাদ্য ও কৃষিপণ্য উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রযুক্তিতে বিশ্বসেরা নেদারল্যান্ডস। এ কারণেই নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে মানসম্মত খাদ্যপণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে ফারগো। এই যৌথ উদ্যোগ ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে খাদ্য এবং কৃষিপণ্য রফতানি কার্যক্রমকে সমৃদ্ধ করবে।
Advertisement
উদ্যোক্তারা জানান, বিশ্বে ৪০টির বেশি দেশে নিরাপদ, প্রাকৃতিক এবং শতভাগ কেমিকেল ও বিষমুক্ত চাষাবাদ নিয়ে কাজ করে নেদারল্যান্ডসের ‘সলিদারিদাদ’ ও সুইজারল্যান্ডের ‘সিনজেনটা ফাউন্ডেশন’। এই প্রতিষ্ঠান দুটির দেওয়া প্রশিক্ষিত বাংলাদেশি কৃষকদের কাছ থেকে ফল ও শাক-সবজি সংগ্রহ করে ফারগো। এছাড়া পিকেএসএফ, ইফাদ, ইউএসএইড, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা পরিচালিত পরিবেশবান্ধব কৃষি বিষয়ে প্রশিক্ষিত প্রান্তিক কৃষক ও উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে শুঁটকি, মশলা এবং অন্যান্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য সংগ্রহ করে।
অনুষ্ঠানে হামিদুল হক বলেন, বাংলাদেশে অসংক্রামক রোগ জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করেছে ও চিকিৎসা ব্যয় বেড়েছে। ক্যানসার, কিডনি, লিভার ও হৃদরোগ, টাইপ ২ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ওভারওয়েট ও অবেসিটি ইত্যাদি অসংক্রামক রোগের ব্যাপক বিস্তার রোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্বাস্থ্যকর খাবারের পাঁচটি উপাদান, যথা- হোল গ্রেইন, কোয়ালিটি প্রোটিন, প্ল্যান্ট বেজড ওয়েল, ফল ও শাক-সবজি এবং নিরাপদ পানির কথা বলেছে। সুপারিশকৃত খাদ্যপণ্য নিশ্চিতে ফারগো স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করছে।
অনুষ্ঠানে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা এবং অনিরাপদ খাদ্য খাওয়ায় রোগব্যাধি এবং অকাল মৃত্যুর বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরা হয়।
২০২০ সালে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম শুরু হয়। ১৩৬টিরও বেশি খাদ্যপণ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে বলে জানান হামিদুল হক।
Advertisement
এএএম/জেডএইচ/এমএস