জাতীয়

রাজনীতি ঠিক হলে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে: দীপু মনি

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, কেউ কেউ বিদেশে বসে রিমোট কন্ট্রোল করে বাংলাদেশে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদ উসকে দেয়। কিন্তু অসাম্প্রদায়িক দেশ চাইলে এসব ছেড়ে রাজনীতিকে বেছে নিতে হবে। দেশে রাজনীতি ঠিক হলে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।

Advertisement

মঙ্গলবার (১৪ মে) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ঋষি সম্প্রদায়ের অধিকার ও টেকসই উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে পলিসি অ্যাডভোকেসি রোডম্যাপ’ শীর্ষক জাতীয় গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, দেশে কেউ পিছিয়ে থাকবে না। আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন থেকে বাস্তবায়ন সব পর্যায়ে সবার অংশগ্রহণ হওয়া জরুরি। দেশে সব সম্প্রদায়ের মানুষ যেন সমান মৌলিক অধিকার নিয়ে বাস করতে পারে সে লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করছে।

তিনি বলেন, কোনো নীতিমালা সংবিধানের উপরে নয়। নীতিমালায় থাকুক না থাকুক সেটা বিষয় নয়। এ রাষ্ট্রে সবাই সমান অধিকার পাবে। সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে বেড়ানো দলকে দেশ থেকে তাড়াতে হবে।

Advertisement

ঋষি সম্প্রদায়ের লোকেরা প্রত্যাশা অনুযায়ী যথাযথ জায়গায় পৌঁছাতে পারেনি মন্তব্য করে ডা. দীপু মনি বলেন, অসাম্প্রদায়িকতা, সাম্য ও সমতার ভিত্তিতে এ দেশ সৃষ্টি হয়েছে। সংবিধান আমাদের সমান অধিকার দিলেও স্বাধীনতার পর একটি দীর্ঘ সময় যারা রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল, তারা স্বাধীনতা ও সংবিধানে বিশ্বাস করে না। সে কারণে আমাদের যতটা এগোনোর কথা ততটা হয়নি।

তিনি বলেন, তবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকার কাউকে পেছনে ফেলে নয়, সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার, উন্নত দেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। এ কাজে বেসরকারি সংগঠনগুলোকেও রাজনৈতিক সচেতনতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

সভায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব খায়রুল আলম শেখ বলেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী হিসেবে ঋষি সম্প্রদায়ের মানুষদের বিশেষ সহযোগিতা দিয়ে এগিয়ে নেওয়া দরকার। ঋষি সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েরা চাইলে ট্যানারি শিল্প কিংবা জুতা কারখানায় নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতা অনুসারে অগ্রাধিকার বা সুযোগ পেতে পারে। এছাড়া বিশেষ পেশায় যারা আছেন তাদের উৎপাদিত বিশেষায়িত পণ্য উচ্চমূল্যে দেশে-বিদেশে বিক্রি হতে পারে।

গ্রাম বিকাশ সহায়ক সংস্থা-জিবিএসএস আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংস্থার চেয়ারপারসন প্রফেসর সাজেদা বানু। আলোচনায় আরও অংশ নেন- কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর কেটি ক্রোক, ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তফা আলমগীর রতন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান যুব ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার তাপস কান্তি পাল, কাপের নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রেবেকা সানইয়াত, কজিরবাগ ঋষি পাড়া পঞ্চায়েতের সভাপতি সুজন দাস ও রতন, ঋষি সম্প্রদায়ের অ্যাডভোকেসি ফোরামের সদস্য কনকা দান ও প্রসেনজিত দাস এবং জিবিএসএসের নির্বাহী পরিচালক মাসুদা ফারুক রত্না প্রমুখ।

Advertisement

আইএইচআর/এমকেআর/এএসএম