দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে আড়াই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হলেন হংকংয়ের অলরাউন্ডার ইরফান আহমেদ। হংকংয়ের এই অলরাউন্ডার নিজেই স্বীকার করেছেন যে, তিনি আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী আইন ভেঙেছেন। তবে এই শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন তিনি।তবে সরাসরি কোন দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে অভিযুক্ত করা হয়নি। তবে আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিট তার বিরুদ্ধে এটা প্রতিষ্ঠা করেছে যে, দুর্নীতিতে জড়ানোর বিষয়ে তাকে যে উৎসাহিত করা হয়ছিল কিংবা প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল, সে সম্পর্কে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে কাগজ-পত্র জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন ইরফান।যা আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিটের কোড অব কন্ডাক্টের ২.৪.২ আর্টিকেলের শর্ত ভঙ্গ করেছেন তিনি। ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এই সময়ের মধ্যে জুয়াড়িরা চেষ্টা করে গিয়েছে ইরফান আহমেদকে দুর্নীতিতে জড়ানোর। হংকং অলরাউন্ডারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডেও সেই অভিযোগের আলামত দেখা যাচ্ছিল। যে কারণে ২০১৫ সালের নভেম্বরে ইরফান আহমেদকে প্রাথমিকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।প্রাথমিক নিষেধাজ্ঞার পর দ্রুত আরফান আহমেদের বিপক্ষে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ সময় নিজের স্বপক্ষে পর্যাপ্ত পরিমান প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি ইরফান। তবে তিনি নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন। যে কারণে আড়াই বছরের শাস্তি দেয়া হয়।আইসিসি জানিয়েছে, গত বছর নভেম্বর থেকেই তার শাস্তির মেয়াদ শুরু হবে এবং সেটা গিয়ে শেষ হবে ২০১৮ সালের ৪ মে তারিখে। আইএইচএস/এবিএস
Advertisement