লিভারপুুলের বিপক্ষে ম্যাচের ৮৪ মিনিট পর্যন্ত ৩-১ গোলে পিছিয়ে ছিল অ্যাস্টন ভিলা। তখন হার হজম করার জন্যই বোধহয় অপেক্ষা করছিলেন ভিলার সমর্থকরা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে বদলে গেল ম্যাচ ও গ্যালারির দৃশ্যপট। যেখানে নিরবে বসে হারের অপেক্ষা করছিলেন সমর্থরা, পরক্ষণেই সেখানে দেখা গেল এক পয়েন্ট অর্জনের উচ্ছ্বাস।
Advertisement
শেষ মুহূর্তে এসে তিন মিনিটের মধ্যে ২ গোল করে বসে ভিলা। দুটি গোলই করেন জন ডুরান। এতে ৬ গোলের থ্রিলার ম্যাচটি শেষ হয় ৩-৩ সমতায়। নিজেদের মাঠ থেকে লিভারপুলকে তিন পয়েন্ট নিয়ে যেতে দেয়নি ভিলা। সফরকারী লিভারপুুলের ২ পয়েন্ট কেড়ে নেওয়ার সঙ্গে নিজেরাও অর্জন করে নিয়েছে এক পয়েন্ট।
এই ম্যাচের শুরুতেই ছিল নাটকীয়তা। ২ মিনিটে ভিলার আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ ভুলে গোল হজম করে ভিলা। লিভারপুলের তারকা হারভে এলিয়টের একটি ক্রস শট ঠেকাতে গিয়ে ব্যর্থ হন মার্টিনেজ। তার গ্লাভসের ফাঁক দিয়ে বল বেরিয়ে ভিলার জালে চলে যায়। আত্মঘাতী গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় লিভারপুল।
তবে লিভারপুলের এই গোল শোধ করতে বেশি দেরি করেনি ভিলা। ১২ মিনিটে সমতাসূচক গোলটি করেন ইউরি টাইলেম্যানস। ইনজুরির কারণে তিন ম্যাচ দলের বাইরে ছিলেন তিনি। এরপর ফিরেই গোল পেলেন এই বেলজিয়ান।
Advertisement
২৩ মিনিটে ফের এগিয়ে যায় লিভারপুল। গোল করে অলরেডদের ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন কোডি গাকপো। অফসাইডের ফাঁদ এড়িয়ে গোল করেন তিনি। ভিএআর চেক করলেও কোনো সুধিবা হয়নি ভিলার।
লিভারপুলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন জারেল কুয়ানসাহ। ৪৮ মিনিটে গোল করে লিভারপুলকে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন তিনি। ফ্রি-কিক থেকে উড়ে আসা বলে দারুণ হেড করে ভিলার জাল কাঁপান তিনি। প্রিমিয়ার লিগে ৪৮ ম্যাচে এই প্রথম গোল পেলেন এই ডিফেন্ডার।
ম্যাচের ৮৪ মিনিট পর্যন্ত ৩-১ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল ভিলা। ৮৫ মিনিটে গোল করে ব্যবধান ৩-২ করেন ভিলার ডুরান। এর ৩ মিনিট পর আবারও গোল করেন তিনি। ফলে ৩-৩ সমতা নিয়েই মাঠ ছাড়ে ভিলা।
৩৭ ম্যাচে ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয়স্থানে আছে লিভারপুল। সমান ম্যাচে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছে ভিলা।
Advertisement
এমএইচ/জিকেএস