গতকাল রোববার পর্যন্ত শোনা গেছে তাসকিন আহমেদ ‘সাইড স্ট্রেইন’ ইনজুরির শিকার। তবে আজ সোমবার জানা গেছে, আসলে ডান পাজরের নরম হাড়ে খানিক চিড় ধরেছে তাসকিনের। গত ১০ মে শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ফিল্ডিং করতে গিয়ে ডান পাঁজরে ব্যথা পান ফাস্টবোলার তাসকিন। এক্স-রে করার পরই খানিক নরম ফ্র্যাকচারের (ক্ষত) অস্তিত্ব মিলেছিল। তাসকিনের ইনজুরি আসলে কতটা গুরুতর? তার ভালো হয়ে বল হাতে মাঠে ফিরতে আসলে কত দিন লাগবে? তিনি কি ৮ জুন যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টিম বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ম্যাচটি খেলতে পারবেন? নাকি তার ভালো হয়ে মাঠে ফিরতে আরও বেশি সময় লাগবে? বিসিবির নীতি-নির্ধারক মহল, জাতীয় দলের টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকরা এখন এসব প্রশ্নের জানতে উন্মুখ।
Advertisement
নির্ভরযোগ্য সূত্রের খবরে জানা গেছে, তাসকিনের এমআরআই রিপোর্ট দেশের বাইরে কয়েকজন স্বনামধন্য অর্থোপেডিক স্পেশালিস্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে। ভালো বিশ্লেষণ পেতে তাদের মতামত নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন তাসকিনসেসব বিশেষজ্ঞদের সবাই এশিয়ার নন; ইউরোপ ও আমেরিকার বিশেষজ্ঞরাও আছেন। সেসব দেশের সঙ্গে সময় মেলাতে গিয়েই আসলে দেরি হয়েছে। যে কারণে আজ সোমবার দল ঘোষণা না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
Advertisement
এদিকে যাদের কাছে তাসকিনের এমআরআই রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে, সেসব বিশেষজ্ঞরা এমআরআই রিপোর্ট দেখে মতামত দিচ্ছেন এবং আরও নিখুঁত মতামত দেবেন। সবার মতামতের ভিত্তিতেই নেওয়া হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
জানা গেছে, সোমবার রাতের মধ্যেই সব মতামত চলে আসবে বিসিবির কাছে। আজ সোমবার রাতে বিসিবি মেডিকেল কমিটির প্রধান দেবাশীষ চৌধুরী, জাতীয় দলের টিম ম্যানেজমেন্ট, নির্বাচকবৃন্দ এবং বোর্ডের নীতি-নির্ধারকরা একসঙ্গে বসে পুরো বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন।
এক কথায়. বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে সোমবার রাতেই তাসকিনের ব্যাপারে একটা চূড়ান্ত সিদ্বান্ত নেওয়া হবে। সে সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই আগামীকাল মঙ্গলবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করবে বিসিবি। দল ঘোষণার আগেই আজ রাতে তাসকিনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে।
তাসকিন যে ধরনের ইনজুরির শিকার হয়েছেন, তার মূল চিকিৎসা হলো- বিশ্রাম।
Advertisement
এখন দেখার বিষয় হলো- এমআরআই রিপোর্ট দেখে বিশেষজ্ঞরা তাকে কত দিন বিশ্রাম নিতে বলেন। যদি ৩ সপ্তাহের বিশ্রাম হয়, তাহলে তাসকিন ঠিক বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো খেলতে পারবেন। তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ মিস করবেন। কিন্তু ৪ সপ্তাহ বা তার বেশি বিশ্রামে কাটাতে হলে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজই শুধু নয়, বিশ্বকাপও আর খেলা হবে না দেশের দ্রুততম ফাস্ট বোলারের।
এআরবি/এমএইচ/এমএস