দেশজুড়ে

১১ বছর ঘুরেও সেবা পাননি, ক্ষুব্ধ হয়ে ডিসি কার্যালয়ে ভাঙচুর

বছরের পর বছর ঘুরেও কোনো সহযোগিতা না পেয়ে ক্ষুদ্ধ হয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের হেল্প ডেস্ক ভাঙচুর করেছেন একজন সেবাপ্রার্থী।

Advertisement

সোমবার (১৩ মে) সকালে সুশান্ত কুমার দাস (৬৫) নামের এক বৃদ্ধ এ ভাঙচুর চালান।

সুশান্ত কুমার সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের মথুরাপুর এলাকার হরিহরপুর গ্রামের মৃত প্রবীর চন্দ্র দাসের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ সুশান্ত দাস জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের হেল্প ডেস্ক শাখার গ্লাস ভাঙচুর করতে থাকেন। এসময় তাকে বলতে শোনা যায়, হেল্প ডেস্ক থেকে সহযোগিতা পাওয়া যায় না। কেউ আমার কথা শোনে না, উত্তর দেয় না। বছরের পর বছর ঘুরতে হয়। তারপরও কোনো সমাধান নেই। সেই হেল্প ডেস্ক থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো। আমি রাখবো না এই হেল্প ডেস্ক।

Advertisement

এসব কথা বলতে বলতে ব্যাগ থেকে লোহার রড বের করে গ্লাস ভাঙচুর করেন ওই বৃদ্ধ। পরে পুলিশ এসে তাকে আটক করে নিয়ে যায়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ওই ব্যক্তির স্বজনরা জানান, ২০১৩ সালে থেকে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে সহযোগিতা চেয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নিচতলায় হেল্প ডেস্ক শাখায় সহযোগিতা চেয়ে আসছেন সুশান্ত কুমার। কিন্তু আজ-কাল বলে সময়ক্ষেপণ করেন হেল্প ডেস্কের দায়িত্বরতরা। এভাবে তিনি ১১ বছর ধরে হেল্প ডেস্কের বারান্দায় ঘোরাঘুরি করছেন। রাগে ক্ষোভে এমনটা করেছেন বলে ধারণা তার পরিবারের লোকজনের। এছাড়া তিনি কিছুটা মানুষিক ভারসাম্যহীন বলেও জানান তারা।

ডিসি অফিসের হেল্প ডেস্ক ভাঙচুরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে নেটিজেনদের বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, আটক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার বিস্তারিত পরে বলা যাবে।

Advertisement

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, এটি অত্যন্ত খারাপ একটি কাজ হয়েছে। অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। তবে কেন ভাঙচুর করেছে তা এখনোই বলা যাবে না। তদন্ত করে পরে জানানো হবে।

এনিয়ে ঠাকুরগাঁও ডিসি অফিসে দুবার হামলার ঘটনা ঘটলো। এর আগে গত বছরের ৮ জুলাই নাসির উদ্দিন নামের এক যুবক জেলা প্রশাসকের প্রবেশদ্বারের কেঁচিগেটের তালা ভেঙে বেলচা দিয়ে হামলা চালান। তিনি ডিসির কক্ষসহ অফিসের ১০টি রুমের ৩১টি দরজা-জানালা ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। এসময় তাকে নিবৃত্ত করতে গিয়ে গুরুতর আহত হন পুলিশের এক কর্মকর্তা।

তানভীর হাসান তানু/এসআর/এএসএম