নাজমুল হোসেন শান্ত তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক। ভবিষ্যৎ বিবেচনায় তার মতো তরুণের কাঁধে এমন গুরুদায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ভবিষ্যতে ভালো কিছু হতেও পারে। কিন্তু বর্তমানের কী হবে?
Advertisement
সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আঙুলের কড়ায় গুনলে সময় আছে দুই সপ্তাহের মতো। জিম্বাবুয়ের মতো দলের বিপক্ষে অধিনায়ক শান্তর যে পারফরম্যান্স, শেষ মুহূর্তে দুশ্চিন্তা পেয়ে বসেছে সমর্থকদের।
১১১ স্ট্রাইকরেটের শান্ত ঠিক টি-টোয়েন্টির সঙ্গে মানানসই নন। যেমন খেলছেন, তাতে দলে জায়গা নিয়েই শঙ্কিত থাকার কথা। অথচ তিনি যাবেন বিশ্বকাপে অধিনায়ক হয়ে! শুরুর আগেই তাই বিশ্বকাপ নিয়ে হতাশ অনেকেই। অধিনায়কই যদি পারফর্ম না করেন, বাকিদের নিয়ে কথা বলার সুযোগ কোথায়?
অনেকেই দাবি তুলছেন, বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে অন্য কাউকে অধিনায়ক করা হোক। কিন্তু সেই অন্য কেউ কে হবেন? তরুণদের মধ্যে অধিনায়ক হওয়ার মতো সামর্থ্য বা নেতৃত্বগুণ আছে, এমন কেউ আসলে এখন নেই।
Advertisement
বাকি থাকলো দুই অভিজ্ঞ খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এই দুজনের মধ্যে সাকিব নেতৃত্ব নিতে আগ্রহী নন। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে শেষ মুহূর্তে দায়িত্ব নিয়ে অনেক ঝক্কি-ঝামেলার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে সাকিবকে।
তবে কি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদই হতে পারেন শেষ সময়ের ভরসা? হতে পারেন। মাহমুদউল্লাহ ভালো খেলছেন। শেষ ম্যাচে দল হারলো জিম্বাবুয়ের কাছে, সেখানেও কিন্তু টাইগারদের সেরা পারফরমার মাহমুদউল্লাহ। টি-টোয়েন্টিতে যেমন ব্যাটিংটা করা দরকার, তেমনই করছেন তিনি। তার আছে দীর্ঘ সময় দলকে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতাও।
এসব নিয়ে যখন আলোচনা। তখন নতুন এক খবর। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ হওয়ার পর হঠাৎ মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে বৈঠকে বসেছেন বিসিবির কর্তারা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন খোদ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও।
অনেকেই ধারণা করছিলেন, ওই বৈঠকে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত আসতে পারে। শেষ মুহূর্তে বদলে যেতে পারে বিশ্বকাপের অধিনায়ক। তবে তেমন কিছু হয়নি আজ। তবে যা হয়েছে, সেটাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।
Advertisement
শান্তর ব্যাটিং ফর্ম নিয়ে আলোচনা হয়েছে ওই বৈঠকে। অন্যদিকে মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করা হয়েছে। বিসিবি প্রধানও মাহমুদউল্লাহকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং এখনই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে সরে দাঁড়ানোর চিন্তা করার পরামর্শও নাকি দেওয়া হয়েছে।
সব ছাপিয়ে এই বৈঠকে হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এক সিদ্ধান্ত। মাঠে অধিনায়ক শান্তকে সহায়তা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে মাহমুদউল্লাহকে।
সেই সহায়তাটা সবসময়ই করে থাকেন সিনিয়র ক্রিকেটাররা। সেটা আলাদা করে বলা কেন? ধারণা করা হচ্ছে, বিশ্বকাপের আগে হুট করে অধিনায়ক পরিবর্তন করে অস্থিতিশীল অবস্থার সৃষ্টি করতে চাইছে না বোর্ড। সেক্ষেত্রে শান্তই অধিনায়ক থাকছেন। তবে সেটা কাগজে-কলমে।
মূল দায়িত্বটা পালন করবেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদই। অর্থাৎ ছায়া-অধিনায়ক হিসেবে কাজ করবেন মাহমুদউল্লাহ। দলের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলোও হয়তো তিনিই নেবেন।
এমএমআর/জিকেএস