যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতগামী যাত্রীদের এখন থেকে ‘যাত্রী সুবিধা চার্জ’ অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে। রোববার (১২ মে) থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
Advertisement
সকালে বেনাপোল আন্তর্জাতিক স্থলবন্দরের কনফারেন্স রুমে প্রধান কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একসঙ্গে দেশের চারটি স্থলবন্দরে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান।
প্রধান অতিথি স্থলবন্দর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান যাত্রী সুবিধা চার্জ অনলাইনে কীভাবে পরিশোধ করতে হবে সে বিষয়ে ধারনা দেন। নির্দিষ্ট দোকান বা নিজে মোবাইল ও কম্পিউটারের মাধ্যমে এ চার্জ প্রদান করে ভারত গমন করতে পারবেন বলে জানান।
তিনি বলেন, আজ বেনাপোল বন্দর, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী ও নাকুগাঁও স্থলবন্দরের যাত্রী সুবিধা চার্জের কার্যক্রম উদ্বোধন করা হলো। দেশের অন্যান্য বন্দরেও এ কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে।
Advertisement
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম জানান, বাংলাদেশ থেকে ভারতগামী যাত্রীদের সেবার মান বাড়াতে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে বেনাপোল স্থলবন্দরের তল্লাশি চৌকির পাশে নির্মাণ করা হয়েছে আন্তর্জাতিক যাত্রী টার্মিনাল। ছয়তলা ভিত্তির ওপর তৃতীয় তলা পর্যন্ত এক লাখ ৩ হাজার ৬৭৫ বর্গফুটের এ ভবন নির্মাণে ব্যয় হয় সাত কোটি ৬৮ লাখ ১৭ হাজার ৮৮২ টাকা। ২০১৭ সালের ২ জুন টার্মিনালটি উদ্বোধন করা হয়। এরপর টার্মিনালটি যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
চারটি খাতে যাত্রী সুবিধা ফি নির্ধারণ করা হয় ৩৮ টাকা ৭৬ পয়সা। এরমধ্যে প্রবেশ ফি ৯ টাকা ৯১ পয়সা, অপেক্ষা ফি ৯ টাকা ৯১ পয়সা, সার্ভিস চার্জ ৩ টাকা ৯৭ টাকা ও টার্মিনাল চার্জ ৯ টাকা ৯১ পয়সা। শতকরা ১৫ টাকা হারে ভ্যাট ৫ টাকা ৬ পয়সা। প্রতিবছর শতকরা ৫ টাকা হারে বৃদ্ধিতে ২০২৪ সালে এসে ফি দাঁড়িয়েছে ৪৭ টাকা ৪১ পয়সা। শতকরা ১৫ টাকা হারে ভ্যাট ৭ টাকা ১১ পয়সা। মোট ৫৪ টাকা ৫২ পয়সা।
এতদিন যাত্রীরা আন্তর্জাতিক যাত্রী টার্মিনালের কাউন্টারে যাত্রীসুবিধা ফি পরিশোধ করে রসিদ নিতেন। এখন অনলাইনে পরিশোধের রসিদ সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। আন্তর্জাতিক যাত্রী টার্মিনালের ফটকে সেই রসিদ দেখিয়ে স্থলবন্দরে প্রবেশ করতে হবে ভারতগামী যাত্রীদের। যাওয়ার পথে শুধু যাত্রী সুবিধা চার্জ নেওয়া হবে। রসিদের কার্যকারিতা সাতদিন বহাল থাকবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এটুআই প্রোগ্রাম আইসিটি ডিভিশনের যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচিব মোল্লা মিজানুর রহমান, যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবির, বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রেজাউল করিম, ইমিগ্রেশন ওসি আজহারুল ইসলামসহ বন্দর ও ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
জামাল হোসেন/এসআর/জিকেএস